আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাজধানী সানায় দুই কমান্ডারসহ ৫০ জনেরও বেশি হাউছি বিদ্রোহী নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে একটি সৌদি টেলিভিশন। তবে দেশটির অপর একটি টেলিভিশন বলছে বিদ্রোহীদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনে চালানো হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে।
ইরান সমর্থিত হাউছিদের তরফে হামলার মুখে পড়ার কথা স্বীকার করা হলেও হতাহতের সংখ্যা জানানো হয়নি।
ইরান সমর্থিত হাউছি বিদ্রোহীরা সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সাথে ২০১৫ সাল থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সমর্থনপুষ্ট সরকারকে হটিয়ে হাউছি বিদ্রোহীরা রাজধানী দখল করে নিলে এই সঙ্ঘাত শুরু হয়। ইয়েমেন যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আঞ্চলিক শক্তি ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখে থাকে।
সৌদি আরবের আনুষ্ঠানিক টেলিভিশন আল আখবরিয়ার খবরে জানানো হয়, দুই কমান্ডারসহ ৫০ জনেরও বেশি হাউছি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই হামলা চালানোর কথা বলা হলেও বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে আল আরাবিয়া টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, হাউছি বিদ্রোহীদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনে বিমান হামলায় মোট ৩৮ বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।
হাউছি বিদ্রোহীদের তরফে বিমান হামলার মুখে পড়ার কথা স্বীকার করলেও বিস্তারিত জানানো হয়নি। গত সপ্তাহে বিমান হামলায় নিহত হাউছি বিদ্রোহীদের রাজনৈতিক প্রধান সালেহ আল সামাদের শেষকৃত্যের কয়েক ঘণ্টা আগে আবারো এই হামলার মুখে পড়ল তারা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইয়েমেন সঙ্ঘাত নিয়ে আলোচনার জন্য রিয়াদ সফর করবেন বলেও খবর শোনা যাওয়ার মধ্যেই এই হামলা চালানো হলো। হাউছি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা ছাড়াও সৌদি সীমানায় দেশের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকার বেশির ভাগ অংশ এবং লোহিত সাগরের ইয়েমেনি বন্দর হোবাইদা বন্দর নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
২০১৫ সালে থেকে এ পর্যন্ত চলা সঙ্ঘাতে অন্তত দশ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। এই সঙ্ঘাতের কারণে তৈরি হয়েছে জাতিসঙ্ঘ বর্ণিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়। ইয়েমেন এখন দুর্ভিরে দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। গত নভেম্বরে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনের বন্দরগুলোতে অবরোধ আরোপ করলে খাদ্য সঙ্কট আরো প্রবল হয়। পরে আংশিকভাবে অবরোধ তুলে নেয়া হলে দেশটির খাদ্য সঙ্কট এখনো কাটেনি।-আলজাজিরা ও এএফপি
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস