আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার বিজয় দিবসের রাতে গত ৯ মে রাত ১টার দিকে ইসরায়েলের ২৮টি এফ-১৫ এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে সিরিয়ার ভূমিতে অন্তত ৬০টি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়। ওইসব মিসাইল সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের প্রায় ৫০টি সামরিক স্থাপনার ওপর আঘাত হানে। এতে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়, যাদের ১১ জন ইরানি সেনা।
হামলার সময় রাশিয়ার বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশটিতে সফরে গিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসে নেতানিয়াহুই ছিলেন একমাত্র সরকারপ্রধান যিনি পুতিনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। আর সে সময়েই হামলাটি পরিচালিত হয়।
ইরানি স্থাপনায় হামলা এবং সে সময় নেতানিয়াহুর সফর, তার বক্তব্য এবং সবশেষে রাশিয়ার ভূমিকায় বিজনেস ইনসাইডার, জেরুজালেম পোস্ট, হারেৎজসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সন্দেহ প্রকাশ করা হয়, ইরানি স্থাপনার ওপর ইসরাইলের এ হামলার পেছনে রাশিয়ার সম্মতি ছিল।
রাশিয়া সফরে যাওয়ার আগে নেতানিয়াহু মন্তব্য করেছিলেন, সিরিয়াতে এই মুহূর্তে যা ঘটছে তাতে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের যে সামরিক সমঝোতা আছে, তার ধারাবাহিকতা পুনরায় নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেছিলেন, এটা মনে করার কোনো ভিত্তি নেই যে, সিরিয়াতে ইসরাইলের সামরিক পদক্ষেপে রাশিয়া বাধার সৃষ্টি করবে।
সামরিক ইতিহাসবিদ ও সাংবাদিক বাবাক তাগভাই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করেন, নেতানিয়াহুর সফরকালে পুতিন তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, ইসরাইল যদি ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের স্থাপনার ওপর হামলা করে তাহলে রাশিয়া তাতে বাধা দেবে না। যদিও এ সূত্রের তথ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস