বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮, ০৮:২৯:১৬

জেরুজালেম থেকে আল-আকসা মুছে ফেলার ছবি হাতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত!

জেরুজালেম থেকে আল-আকসা মুছে ফেলার ছবি হাতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে দূতাবাস সরিয়ে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর মধ্য দিয়ে পবিত্র এ শহরটি থেকে মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল-আকসা মসজিদকে গুঁড়িয়ে ইহুদিবাদীদের পরিকল্পনা নতুন গতি পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় অসহায় বিশ্বের সব দেশের মুসলমানরাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। গত ডিসেম্বর থেকে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।

সর্বশেষ গত ১৪ মে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের দিন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করতে গিয়ে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৬২ ফিলিস্তিনি।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যানের হাতে তুলে দেয়া জেরুজালেমের একটি ছবিকে ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

বিমান থেকে তোলা ওই প্রতীকী ছবিতে দেখা গেছে, জেরুজালেম শহরে আল-আকসা মসজিদ ও কুব্বাত আস সাখরার (ডোম অব দ্য রক) মুছে ফেলে সেখানে ইহুদি উপাসনালয় থার্ড টেম্পলকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে।

পুরো ছবিটিতে আল-আকসা ও কুব্বাত আস সাখরার অস্তিত্ব একেবারেই বিলীন করে দেয়া হয়েছে। বোঝার উপায় নেই যে কয়েক হাজার বছর ধরে ওই জায়গায় আল-আকসার অস্তিত্ব রয়েছে।

ইসরাইলের শহর বেনে বারাকে সফরকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যানের হাতে ছবিটি তুলে দেন ইসরাইলি সংস্থা আচিয়ার এক কর্মকর্তা।

ছবিটি হাতে হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন মার্কিন কূটনীতিক। ফলে বোঝার উপায় নেই যে ফ্রিডম্যান ছবির আসল বিষয়টি খেয়াল করেছেন কিনা কিংবা তিনি দেখেও না দেখার ভান করেছেন কিনা।

ছবিটি বিমান থেকে তোলা হলেও এতে কম্পিউটারে কম্পোজ করে থার্ড টেম্পলের মিথ্যা ছবি বসিয়েছে প্রতিবন্ধী শিশুদের সহায়তায় তৎপর ইহুদিবাদী সংগঠন আচিয়া।

অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের সংবাদ সংস্থা কিকার হাশাপাতে এই ছবি কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশিত হয়। এর পরই নড়েচড়ে বসে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তারা জানান, তারা আচিয়াকে এ ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থনার কথা ঘোষণা করতে আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ তাদেরই এক কর্মকর্তা এই বিতর্কিত ছবি রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফ্রিডম্যান এ ছবির ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন না। তিনি এ ঘটনায় খুবই হতাশা প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি খুবই পরিষ্কার, আমরা হারাম আল শরিফের বর্তমান অবস্থাকে সমর্থন জানাই।

ফ্রিডম্যানকে উদ্দেশ্য করে ইসরাইলেরই এক আইনপ্রণেতা আহমাদ টিবি বলেন, মানসিকভাবে অসুস্থ এ ব্যক্তি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আপনি দূতাবাস স্থানান্তর করে ভালো কাজ করেননি। সূত্র : হারেৎজ।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে