আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসরের পণ্যগুলো দোকান থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছে কাতারের অর্থ মন্ত্রণালয়। দোহার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা। এই চারটি দেশ গত বছর কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে। কাতারের সঙ্গে একমাত্র স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব।
কাতার সরকারের যোগাযোগ অফিস (জিসিও) বলছে, ভোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। পণ্যগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী দেশ থেকে আসায় এবং আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ-জিসিসি কাস্টমস এলাকা থেকে এগুলো পাস করা সম্ভব হয় না। এজন্য সঠিক আমদানি পরিদর্শন ও শুল্ক বিভাগের কার্যপ্রণালীতে ঝামেলার সৃষ্টি হয়।
ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে অর্থায়নের অভিযোগ এনে গত বছরের ৫ জুন কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর। এবার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কাতারও পণ্য বর্জন করলো সৌদি আরবকে।
পরবর্তীতে কাতারের উপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি দেশটির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বর্জন করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এমনকি কাতারের শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনারও হুমকি দেয় দেশগুলো। সেসময় দেশটি প্রায় একঘরে হয়ে যায়।
‘সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেয়া’ এবং ‘মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল’ করার অভিযোগ তুলে এই অবরোধ আরোপ করে জোটটি। এ ধরনের সংকট দূর করতে কাতারের পাশে এসে দাঁড়ায় তুরস্ক ও ইরান। ইরাক, পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায় কাতারের।
অবরোধের পাশাপাশি কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব, আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। ফলে কাতারকে কুয়েত, ওমান হয়ে তুরস্ক ও ইরান থেকে পণ্য আমদানি করতে হয়।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস