আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হরিয়ানার নুহ জেলায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ আগুনে বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ওই ঘটনায় পঞ্চাশেরও বেশি বাড়িঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হওয়ায় প্রায় ৬০টি পরিবারের মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার বিকালের ওই ঘটনায় কমপক্ষে দুই শতাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ শরণার্থী শিবিরের রোজাদার মানুষজন যখন ইফতারি তৈরিতে ব্যস্ত তখন রোহিঙ্গাদের বসতিতে আগুন ধরে যায়।
ভারতের ফায়ার সার্ভিস বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বিকাল সাড়ে তিনটা নাগাদ আগুন ধরার খবর পাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে তিনটা দমকলের গাড়ি পাঠানো হয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শর্টসার্কিটের ফলে ওই আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে।
নুহ থানার কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার বলেন, আগুনে কেউ মারা যায়নি বা আহত হয়নি। কিন্তু সব ঝুপড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করার জন্য আসেনি। এসব ঝুপড়িতে কমপক্ষে ২১৫ জন রোহিঙ্গা বাস করতেন।
রোববার সন্ধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের কাছাকাছি একটি জায়গায় অস্থায়ী শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আশপাশের লোকজন তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
এখানকার আকবর নামে এক বাসিন্দা বলেন, আমরা একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়ে ঘর থেকে বাইরে এসে দেখি ধোঁয়ায় ভরে গেছে। প্লাস্টিক ও রাবার পোড়ার গন্ধ আসছিল। এ সময় একটি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গেলে আগুন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
জাফরুল্লাহ নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তি বলেন, তাদের সব জিনিসপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া তাদের আর কিছু অবশিষ্ট নেই।
শরণার্থী শিবিরের বেশিরভাগ লোকজনের পরিচয়পত্র পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। যাদের পরিচয়পত্র নিজের পকেটে ছিল তাদেরই কেবল তা নষ্ট হতে পারেনি।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস