পারমানবিক বোমায় ইস্তাম্বুলকে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রভাবশালী নেতা কর্নেল ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি তুরস্কের সবচেয়ে জনবহুল শহর এবং দেশটির অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র ইস্তাম্বুলে পারমাণবিক হামলা চালাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পরামর্শ দিয়েছেন।
রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা তুরস্কের জন্য বোকামি বলেও মন্তব্য করেছেন এই প্রভাবশালী নেতা।এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলকে ধ্বংস করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মস্কো স্পিকিং রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঝিরিনোভস্কি বলেন, ‘ইস্তাম্বুলে একটি পারমাণবিক হামলা করা হলে খুব সহজেই শহরটিকে ধ্বংস করা যাবে। একটি মাত্র বোমা ইস্তাম্বুল প্রণালির ওপর ফেলতে হবে। ব্যস, তার পর পুরো শহরটি সহজেই ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
ঝিরিনোভস্কি বলেন, এতে খুব ভয়াবহ একটা বন্যা হবে, ইস্তাম্বুল প্রণালির পানি ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচুতে উঠে যাবে। আর এই জলোচ্ছ্বাসে পুরো শহরটাই ভেসে যাবে। সে সঙ্গে ভেসে যাবে শহরের ৯০ লাখ মানুষ।
রাশিয়ার এই রাজনীতিবিদ তুরস্ককে তাদের এক নম্বর শত্রু হিসেবে বিবেচনা করছেন।
তবে তুরস্কও সুর নামায়নি।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান পুতিনকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না।’
তুরস্ক মঙ্গলবার রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত করার পর দুদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এরদোগান পুতিনকে দুবার ফোন করলেও পুতিন তা ধরেননি বলে জানিয়েছে মস্কো।
মস্কো বলছে, যেকোনো আলোচনার আগে তুরস্ককে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করছেন পুতিন। তবে তুরস্ক তা নাকচ করে দিয়েছে।
এদিকে ক্রোধান্বিত পুতিন, তুরস্ককে অর্থনৈতিকভাবে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছেন।
মস্কো তুর্কি নাগরিকদের রাশিয়ায় ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ রহিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া তুরস্কের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক বিধিনিষেধও আরোপ করা হতে পারে।
তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার রাশিয়া। প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ রাশিয়ান তুরস্ক সফর করেন। তুরস্কের জ্বালানির অন্যতম সরবরাহকারীও রাশিয়া।
২৯ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ