চীনের প্রতি আমেরিকা-জাপানের নিন্দা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা গেল চীনের যুদ্ধবিমানের আনাগোনা। চীনের বক্তব্য, মূলত দেশের আকাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার উদ্দেশ্যেই এই মহড়া চালানো হয়েছে৷ পাশপাশি, বিমানবাহিনীর শক্তিকে আরো পরখ করার অন্যতম লক্ষ্যে এই ধরণের পদক্ষেপ৷ যদিও কিছু দিন আগে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমানের ঘোরাফেরার পালটা হিসাবেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল৷ কলকাতা ২৪-এর এক প্রতিবেদনে এখবর দিয়েছে।
চীনের বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়াকো প্রণালীতে এই সামরিক মহড়া চালানো হয়েছে। জাপানের মিয়াকো এবং ওকিনওয়া দ্বীপের মাঝখান দিয়ে এই প্রণালী চলে গিয়েছে। পূর্ব চীন সাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে ঢোকার জন্য এই রণতরী নীতিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই মিয়াকো প্রণালী৷ যা মূলত ব্যবহার করে মার্কিন নৌবহর। সামরিক কারণেই এই প্রণালী চীনা নৌবাহিনীর কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ ওকিনওয়া মার্কিন নৌবাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি৷ চীনা বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তাদের বোমারু বিমানসহ একাধিক অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত বিমানবহর এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে, পূর্ব চীন সাগরের বিমান শনাক্তকরণ এলাকাতেও টহল দিয়েছে চীনা যুদ্ধবিমান। লালচীনের পক্ষ থেকে ২০১৩ সালে পূর্ব চীন সাগরে বিমান শনাক্তকরণ এলাকা গঠন করা হয়।
এই মহড়া রুটিন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই এ রকম মহড়া অব্যাহত রাখবে বেজিং।
তবে স্বাভাবিকভাবেই চীনের এই তৎপরতার নিন্দা করেছে জাপান এবং আমেরিকা উভয় দেশ। পূর্ব চীন সাগরের দিয়াইউ বা সেনকাকু দ্বীপের অধিকার নিয়ে চীন ও জাপানের মধ্যে উত্তেজনা দীর্ঘ দিনের। আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসারে ২০১২ সালে জাপান দ্বীপটির অধিকার পাওয়ার পর থেকে প্রায়ই চীনা নৌবহর ও যুদ্ধবিমান বিতর্কিত অঞ্চলে টহল দেয়। ১৯৪৯ সালে মাও সে তুংয়ের ক্ষমতালাভের পর থেকে চীন বরাবরই এই দ্বীপের মালিকানা দাবি করে এসেছে। দিয়াইউ বা সেনকাকু দ্বীপের অধিকার ছাড়ার বিষয়ে কোনও আপস চলতে পারে না বলেও এর আগে বারংবার ঘোষণা করেছে এক দিকে টোকিও এবং অপর দিকে বেজিং।
২৯ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই