ফের রাশিয়ার ক্লাস্টার বোমায় নিহত ৪০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী বোমায় নিষিদ্ধ রাসায়নিক হোয়াইট ফসফরাস ব্যবহার করা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর ফের বিতর্ক রুশ বিমানবাহিনীর সিরিয়ায় হামলা নিয়ে৷ রবিবার, সিরিয়ায় ইদলিব প্রদেশের জনবহুল আরিহা শহরে একটি বাজারে রুশ বিমানবাহিনীর ফেলা বোমায় নিহত হলেন অন্তত ৪০ জন৷ গুরুতর জখম হয়েছেন ৬০ জনের বেশি৷ টাইমস অপ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এখবর দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি কেবলমাত্র পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধেই নয়, রাশিয়ার বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছিল৷ তাদের দাবি, সিরিয়ার মসনদে বাশারকে নিরাপদ করতে রুশ বাহিনী বাশার-বিরোধী গোষ্ঠীগুলিকে লক্ষ্য করেও বোমা ফেলছে৷ রবিবার ফের প্রমাণ হল প্রেসিডেন্ট-বিরোধী সংগঠনের এই দাবি৷
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের ইদলিব প্রদেশের অধিকার বহু দিন আগেই হাতছাড়া হয়েছে বাশারের৷ ইদলিব প্রদেশের কিছুটা অংশ এখন আর্মি অফ কনকোয়েস্ট এবং বাকিটা আল-কায়দার সিরীয় শাখা আল-নুসরা ফ্রন্টের দখলে৷ রবিবার এই প্রদেশের অন্যতম প্রধান শহর আরিহাতেই হামলা চালাল রুশ বিমানবাহিনী৷
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন বিমান থেকে ক্লাস্টার বোমা ফেলা হয়েছিল৷ বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ার জন্যই এই বোমার এমন নাম দেওয়া হয়েছে৷ সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় কর্মরত মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরির পক্ষ থেকে সংস্থার প্রধান রামি আবদুলহরমান জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা অন্তত ৬০৷
রবিবার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু জানিয়েছেন, ভেঙে পড়া রুশ বিমানের অন্যতম পাইলট ওলেগ পেশকভের মৃতদেহ এসে পৌঁছেছে তাদের কাছে৷ ওই দেহ তারা রাশিয়ার কাছে ফেরত পাঠাবেন৷ তুর্কি যুদ্ধবিমানের হামলায় রাশিয়ার যে বোমারু বিমান ভেঙে পড়েছিল, তারই চালক ছিলেন পেশকভ৷ প্যারাশ্যুট নিয়ে নামার সময় তাকে গুলি করে সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে বসবাসকারী তুর্কীমেন বিদ্রোহীরা৷ ঘটনার এত দিন পর নিহত রুশ পাইলটের দেহ তুর্কী প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিয়েছে তারা৷
৩০ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�