মঙ্গলবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:০৩:০৭

প্যারিসে মোদী-শরিফের একান্ত সাক্ষাৎ

প্যারিসে মোদী-শরিফের একান্ত সাক্ষাৎ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের দেশ ভাগের পর থেকেই কাশ্মিরকে নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের দন্দ শুরু হয়েছে। দিনে দিনে এই দন্দ আরো বেড়েছে। সময়ে সাথে সাথে দু’দেশের সরকারের বদল হয়েছে কিন্তু উভয় দেশর কোন সরকারেই পারেনি এই দন্দের সূরাহা করতে। কিন্তু সম্প্রতি এই দন্দের সূরাহার আলোর পথ দেখিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সাথে সাক্ষাৎয়ে তিনি বলেছেন, ভারতের সাথে নিঃশর্ত দাবিতে আলোচলনা বসতে রাজি আছে তার সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় প্যারিসে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎয়ে কথা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর । আলোচনার বিষয়বস্তু স্পষ্ট না হলেও, দু’ই রাষ্ট্রপ্রধানের একান্ত আলোচনা, উস্কে দিয়েছে নয়া সম্ভাবনার জল্পনা। প্রথমে সাক্ষাৎ, তারপর কথা। নরেন্দ্র মোদী ও নওয়াজ শরিফের এই ছবি বিদেশী মন্ত্রনালয়ের তরফে ট্যুইটারে পোস্ট করা হয়েছে। দু’জনকে একে অপরের সঙ্গে বেশকিছুক্ষণ কথাও বলতে দেখা গিয়েছে। যদিও, কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যখন নতুন করে ক্রিকেট শুরুর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, তখন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আরও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক বাতিল হওয়ার পর, দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম কথা বললেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক বাতিল হয়েছিল কারণ, কাশ্মীর বাদ দিয়ে আলোচনায় রাজি ছিল না পাকিস্তান। কিন্তু, সম্প্রতি এই ইস্যুতে অবস্থান পাল্টেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের নিউজ চ্যানেল জিও নিউজের খবর অনুযায়ী, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠকে নওয়াজ শরিফ বলেন, শান্তিবজায় রাখতে ভারতের সঙ্গে বিনাশর্তে আলোচনায় রাজি পাকিস্তান। এর আগে ১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জে নিজের ভাষণে আলোচনার জন্য চারটি শর্ত রেখেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ — এক, দু’দেশের একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। দুই, সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। ২০০৩-এর সংঘর্ষবিরতি চুক্তি মানা উচিৎ। তিন, দু’দেশের একে অপরের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের হুঁশিয়ারি বন্ধ করা উচিৎ। চার, কাশ্মীর থেকে সেনা সরানো হোক। সিয়াচিন সমস্যার সমাধান করা হোক। কিন্তু, এই অবস্থান থেকে সরে এসে নওয়াজ শরিফের নিঃশর্ত আলোচনায় রাজি হওয়া এবং প্যারিসে মোদী-শরিফের কথাবলার এই ছবি, দু’দেশের সম্পর্ককে কোন পথে এগিয়ে নিয়ে যায়, তার উত্তর আগামী দিনেই মিলবে। ১, ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে