আইএসআই খোঁজে দিল্লির চিরুনি অভিযান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আইএসআই গুপ্তচরের খোঁজে দেশজুড়ে তল্লাশি শুরু হল। বুধবার সকাল থেকেই দার্জিলিঙ, জম্মু-কাশ্মীর, অাসম এবং ভোপালে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
অন্যদিকে, ধৃত আইএস চরদের জেরা শুরু করেছে এনআইএ। তাদের সঙ্গে জাল নোট চক্রেরও যোগ রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, কলকাতা সহ সারা দেশে তল্লাশি চালিয়ে মোট ১১ জন আইএস-চর গ্রেফতার হয়েছে। এদের জেরা করেই জানা গিয়েছে, সারা দেশে কমপক্ষে ১০০ জনকে আইএসের গুপ্তচর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী থেকে শুরু করে সমস্ত খবর এরা আইএস সংগঠনের কাছে পাঠায়। কলকাতা, মীরাট এবং কাশ্মীরে এদের ঘাঁটিও রয়েছে। ধৃতদের দেওয়া এই খবরের ভিত্তিতেই এদিন সারা দেশে তল্লাশি অভিযান শুরু করল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পাক চর হিসেবে ধৃত কৈফুতুল্লা, রশিদকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তারা কলকাতা থেকে উত্তরপ্রদেশের মিরাট এবং সেখান থেকে কাশ্মীরে তথ্য পাচার করত। তথ্যের সন্ধানে হায়দ্রাবাদ যাওয়ার পথেই গ্রেফতার হয় কৈফুতুল্লা। তার ফোন ঘেঁটে জানা গিয়েছে, তথ্য পাচারের সময় ‘কোডনেম’ ব্যবহার করে আইএসের গুপ্তচরেরা। বিএসএফ, পুলিশ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুরই ‘কোডনেম’ রয়েছে। সারা দেশে সক্রিয় এই আইএসের গুপ্তচরদের খোঁজেই দার্জিলিঙ, জম্মু-কাশ্মীর, অসম এবং ভোপালে পাড়ি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
অন্যদিকে, পুরীর ট্রেন বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে কলকাতায় ধৃত আইএস চরের তদন্তের ভার নিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী, এনআইএ। ইতিমধ্যে কলকাতার তিন পাক চরকে জেরা শুরু করেছে তারা। এই তিনজনের সঙ্গে কলকাতায় কাদের-কাদের যোগ রয়েছে এবং জাল নোট চক্রের সঙ্গেও এদের যোগ রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী। উল্লেখ্য, কলকাতার এই তিন আইএস চরের খবর মাস তিনেক আগেই 'নবান্ন'-এ পৌঁছেছিল বলেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর।
০২ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�