রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৮, ১০:১৮:০২

যারা গোপনে হজ পালন করেন

যারা গোপনে হজ পালন করেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  'আমাদের জন্য করা অনেক ঝুঁকি ছিলো। কিন্তু যখন আপনি যাচ্ছেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তখন আপনিও আল্লাহর সহায়তা পাবেন কারণ তিনি জানেন আমি একজন মুসলিম। তাই আল্লাহর সমর্থন আমি পাবো।' এভাবেই নিজের অভিমত জানাচ্ছিলেন খলিল হোসাইন নামের এক মধ্যবয়সী। তিনি আহমদিয়া গোষ্ঠির লোক। আহমদিয়া সম্প্রদায় গোপনে হজ পালন করে থাকে। কারণে তাদের সৌদি আরবে যাওয়া নিষেধ।

আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুসারীরা নিজেদেরকে মুসলিম হিসেবে দাবী করলেও মুসলিমদেরই অনেক দল কিংবা উপদল তাদেরকে মুসলিম হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। এ কারণে গোপনে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনেকে হজ পালন করে থাকেন। ধর্ম বিশ্বাসের কারণে সৌদি আরবে তাদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের কেউ সেখানে হজ পালন করতে গেলে তাকে আটক কিংবা দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।

হাফসা বিন আহমেদিয়া (ছদ্দনাম) জানান, 'যখন আমাদের বাধা দেয়া হয় তখনই আমাদের মধ্যে হজে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আরও তীব্রতর হয়।' লায়লা বানু (ছদ্দনাম) বলেন, 'আমি কখনো হজে যাইনি কিন্তু আমি যেতে চাই এবং এটি আমার অন্তরের আকাঙ্ক্ষা। কারণ আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি।' ম্যানচেস্টারের দারুল আমান মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ আহমেদ খুরশেদ বলছেন, 'কিছু দেশ ও গ্রুপ আমাদের অ-মুসলিম ঘোষণা করেছে। এটি নিতান্তই তাদের মত। আর একারণেই আহমদিয়াদের জন্য হজ পালন কঠিন। এ কারণেই ভ্রমণের সময় তারা বিষয়টি গোপন রাখে।'

মুসলিমদের মধ্যেই একটি অংশ হলো এই আহমদিয়া সম্প্রদায়। ইসলামের নবী মুহাম্মদই সর্বশেষ নবী- এটি তাদের বিশ্বাস নয়। পাকিস্তানে, ১৯৭৪ সালে আহমদিয়াদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে আইন করা হয়। পাকিস্তানে আহমদিয়াদের ধর্ম বিশ্বাসের বিষয়টি তাদের পাসপোর্টে উল্লেখ করা হয় আর সেকারণে সৌদি আরব তাদেরকে সেদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয় না। কিন্তু যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে বা অন্য দেশের নাগরিক যারা তারা তাদের ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে সৌদি আরবে যেতে পারেন।-বিবিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে