পুরুষ ছাড়াই বাঁচতে চান সৌদি মহিলারা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পুরুষশাসিত সৌদি আরবে ঘটতে চলেছে এক নয়া বিপ্লব। আসছে সৌদি মহিলাদের সুববর্ণ সুযোগ। বিধবা ও বিবাহবিচ্ছেদ মহিলাদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে পৃথক পরিচয়পত্র, যার মাধ্যমে পুরুষদের থেকে আলাদাভাবে স্বাধীন জীবন যাপন করতে পারবেন মহিলারা।
নতুন নিয়মে মহিলারা শিশুদের স্কুলে ভর্তি করাতে পারবেন। চিকিৎসাজনিত সুবিধাও ভোগ করবেন পুরুষদের সাহায্য ছাড়াই। পূর্ববর্তী নিয়ম অনুযায়ী এ কাজগুলো করতে বিবাহবিচ্ছেদ মহিলাদের স্বামীর থেকে অনুমতি নিতে হতো।
বিধবাদের ক্ষেত্রে দরকার পড়তো আদালতের অনুমতি। নতুন এ পরিচয়পত্রের বৈধতার নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নেই। সৌদি মহিলারা আজীবন এ পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে পারবেন।
ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী, বিভিন্ন রক্ষণশীল নিয়মাবলী প্রযোজ্য মুসলিম মহিলাদের জন্য। মহিলাদের জনসমুক্ষে বোরকা দ্বারা নিজদের শরীর ঢেকে রাখা, ঘুরতে যাওয়া, চাকরি করা এবং বিয়ে করার ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষদের অনুমতি আবশ্যক।
একবিংশ শতকেও সৌদি আরব একমাত্র রাষ্ট্র, যেখানে মহিলাদের গাড়ি চালানো নিষেধ। ইসলামিক নিয়মে সৌদি আরবে পুরুষদের চারটি বিয়ের মান্যতা দেয়া আছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সৌদি আরবে ডিভোর্সের হার ২৮ শতাংশ। শতকরা ৬৫ ভাগ বিয়ে পারিবারিক কারণে ভেঙে যায়। বিবাহিত জীবন শেষ হয়ে গেলেও স্বামীর বেড়াজাল থেকে বেরোতে পারেন না সৌদি মহিলারা।
নতুন নিয়ম সৌদি মহিলাদের জন্য খুবই ফলপ্রসূ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে প্রায় সহস্রাধিক মহিলা নতুন এ পরিচয়পত্রের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন।
আগামী ১২ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দেবেন সৌদি মহিলারা। দু’বছর আগে প্রথমবার একজন সৌদি মহিলা আইনজীবী হিসেবে শিক্ষানবিশ শুরু করেছিলেন।
৩ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম
�