বিজ্ঞানীদের অধিকাংশই ধর্মবিশ্বাসী!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিজ্ঞান ও ধর্মের পারস্পরিক বিরোধকে স্বীকার করেন না বিজ্ঞানীদের একাংশ। বরং তারা মনে করেন, এই দুই বিষয় পরস্পরের সম্পূরক এবং পরিপূরক।
ধর্ম আর বিজ্ঞানের বিরোধটা কোথায়— এ প্রশ্নের উত্তর সন্ধান সত্যিই কি দুরূহ? সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু রহস্য-সাহিত্যিক এই বিরোধকে নিয়ে লিখে ফেলেছেন জমজমাট থ্রিলার। সেই সব উপন্যাসে ধর্ম আর বিজ্ঞান বাইনারি অবস্থানে বিরাজ করেছে। বিজ্ঞানবাদীরা ধর্মের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন, ধর্মীয়রা পাল্টা ষড়যন্ত্রে বিজ্ঞানবাদীদের পর্যুদস্ত করেছেন।
দীর্ঘ সময়ের প্রেক্ষিতে দেখলে, ধর্ম আর বিজ্ঞানচিন্তা কিন্তু পরস্পর-বিরোধী ভাবনা হিসেবেই স্বীকৃতি পেয়েছে। ধর্মবিশ্বাসীদের হাতে গ্যলিলেওর লাঞ্ছনা, তার আগে দার্শনিক জিওর্দানো ব্রুনোর মৃত্যুদণ্ড, তারও আগে বিজ্ঞান-গবেষকদের ‘ডাইনি’ সন্দেহে পুড়িয়া মারার উদাহরণ তুলে বিজ্ঞানবাদীরা ধর্ম-ওয়ালাদের বিপুলভাবে তুলোধোনা করে থাকেন।
কিন্তু বাঘের ঘরেই যাদি বাসা বাঁধে ঘোগ, তখন ব্যাপারটাকে সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, অধিকাংশ বিজ্ঞানী সাধারণত নিজেকে ‘এথেইস্ট’ বা ধর্মে অবিশ্বাসী হিসেবে বর্ণনা করলেও, বাকি অর্ধেক কিন্তু ধর্মবিশ্বাসে অটল।
ভারত, ইতালি, তুরস্ক, তাইওয়ান প্রভৃতি দেশের অর্ধেক বিজ্ঞানী নিজেকে ধর্মবিশ্বাসী বলেই পরিচয় দেন— এমনটাই জানাচ্ছে রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধান। সার্ভে-প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ভারতীয় বিজ্ঞানীর ২৭ শতাংশই মনে করেন, বিজ্ঞান এবং ধর্মবিশ্বাসের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। বরং তারা পরস্পরের সম্পূরক এবং পরিপূরক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাবনায় আস্থা রাখেন ২৯ শতাংশ বিজ্ঞানী।
বহু বিজ্ঞানী অবশ্য এ কথা বলেছেন, ধর্মকে তারা সাংস্কৃতিক বিষয় হিসেবেই দেখেন। তা ছাড়া, ধর্ম বিজ্ঞানকে একটা নৈতিক সীমায় বেঁধে রাখে— এ কথাও স্বীকার করেছেন অনেকে।
৬, ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ