মঙ্গলবার, ০৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:৩১:০১

সৌদি আরবের স্থিতিশীলতা ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে

সৌদি আরবের স্থিতিশীলতা ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের স্থিতিশীলতা দিন দিন ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে। দেশটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তরুণ যুবরাজের উপযুক্ততা নিয়ে এ অবস্থার তৈরি হয়েছে। আরবি ভাষার পত্রিকা আল-মনিটর এ মন্তব্য করেছে।

পত্রিকাটি বলছে, যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান সিংহাসনের উত্তরাধিকারি হওয়ায় তিনি দেশের ভেতরে ও বাইরের যেকোনো বিষয়ে খেয়ালখুশি মতো সিদ্ধান্ত নেন যা সৌদি আরবকে বহু প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে এমনকি দেশটির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আল-মনিটর বলছে, গত ৫০ বছরে সৌদি আরবের স্থিতিশীলতা কখনো এত বেশি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে নি।

১৯৬৪ সালে রাজা ফয়সাল তার দুর্নীতিগ্রস্ত ভাইকে বাদ দিয়ে যে উত্তরাধিকার নির্বাচন করেছিলেন তা ছিল সব রকমের প্রশ্বের ঊর্ধ্বে এবং স্বচ্ছ।

রাজা ফয়সালের শাসনামলে বিশেষ করে ১৯৭৩ সালের তেল নিষেধাজ্ঞার সময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ব্যাপক। তার হত্যাকাণ্ড কিংবা সন্ত্রাসীদের হাতে মসজিদুল হারামের দখলের ঘটনা বাদ দিলে দেশের স্থিতিশীলতা ছিল অনেক উঁচুতে।

কিন্তু যুবরাজ বিন সালমানের কারণে এখন সেই স্থিতিশীলতা নেই।

প্রতিবেশী ইয়েমেনে যে সামরিক আগ্রাসন চলছে তা যুবরাজের ব্যক্তিগত ইচ্ছাতেই হয়েছে কিন্তু তাতে সৌদি আরবের জন্য কোনো সফলতা নেই। হুথি যোদ্ধারা এ পর্যন্ত সৌদি আরবের ভেতরে ৬০ হাজার রকেট এবং অন্তত ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। 

অন্যদিকে, মার্কিন সমর্থন ছাড়া ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধ করাও সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের এ পর্যন্ত ৫০০ কোটি ডলার খরচ হয়েছে যা সৌদি আরবকে আরো বেশি অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আঞ্চলিক অনেকগুলো সংকট যাতে যুবরাজের সংশ্লিষ্টতাই বেশি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে