আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেমিকের সাথে দ্বন্দ্বের কারণেই জীবন্ত কবর দেয়া হয় প্রেমিকাকে। মেয়েটি মনে করেছিল সে আর বেঁচে উঠতে পারবেন না। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবাণীতে আবার পৃথিবীর আলো দেখতে পেলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে আসা এই তরুণী। কবর থেকে ফিরে এসে টানা ১৪ দিন আইসিইউ-তে থাকার পর আপাতত সুস্থ আছেন তিনি। মেয়েটির নাম স্টেসি গুইলিয়াম।
তার কথায়, ‘মরে যাবো ভেবেছিলাম। কিন্তু শেষমেস একটু একটু করে নিজেকে কবর থেকে টেনে তুলে আনতে পেরেছি। তবে আর কোনোদিনই আগের মত হতে পারব না মনে হয়’। কলকাতা ২৪-এর এক প্রতিবেদনে এখবর জানা যায়।
জানা যায়, তার প্রেমিক কেথ হিউজ তাকে অজ্ঞান অবস্থায় মাটির তলায় ফেলে দেন। উপর থেকে চাপিয়ে দেন অনেকটা মাটি আর গাছ। যখন তার জ্ঞান আসে তখন তিনি দেখেন শুধুই অন্ধকার। চারিদিকে মরা গাছ। দমবন্ধ হয়ে আসছে। তার শরীরের উপর এত ভারি জিনিস চাপানো ছিল যে ক্রমশ চিন্তাশক্তি লোপ পাচ্ছিল তার। সবকিছু যেন মন্থর হয়ে যাচ্ছিল।এরপর তিনি নখ দিয়ে তার শরীরের উপরে থাকা মাটি সরাতে শুরু করেন। একটু একটু করে নিজেকে টেনে বের করে আনেন মাটির উপরে। পুরোটাই আবছা মনে করতে পারেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে কেথের সঙ্গে হাতাহাতি হওয়ার পর জ্ঞান হারান স্টেসি। তখনই মৃত ভেবে স্টেসিকে কবর দেয় কেথ। মানসিক অসুস্থ অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে জানায়, কখনই পুলিশ স্টেসিকে খুঁজে পাবে না। এর আগে ২০১৩ তে স্টেসির উপর নির্যাতনের ঘটনায় আরও একবার জেল হয়েছিল কেথের। প্রায় দু'বছর জেলে ছিল সে। কেথ জেলে থাকাকালীন ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত হন স্টেসি।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আবর দু'জন সম্পর্কে ফিরে আসে। কবর থেকে ফিরে এসে ২৬ দিন হাসপাতালে কাটাতে হয় স্টেসিকে। তার মধ্যে ১৪ দিন আইসিইউ-তে থাকতে হয়েছিল তাকে। এখনও মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যায় তার।
৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই