আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি চরমে রূপ নিয়েছে। মার্শাল ল’ জারির পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এরই মধ্যে ৮০ হাজারের বেশি সেনা দিয়ে ইউক্রেন ও অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ঘেরাও করে রেখেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দোনেস্ক ও লুহান্সক শহরেও সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।
সীমান্তে প্রতিনিয়ত টহল দিচ্ছে ট্যাংক ও যুদ্ধযান। আকাশে চক্কর কাটছে যুদ্ধবিমান। শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো এ কথা জানিয়েছেন।
শনিবার আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে জি-২০ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে দীর্ঘদিনের শাসক বহাল থাকলে সংকট কখনও শেষ হবে না।’
আলজাজিরা জানায়, রাশিয়ার এ সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমর্থন চেয়েছেন পোরোশেঙ্কো। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের সীমান্তজুড়ে ১ হাজার ৪০০ কামান ও রকেট সিস্টিম, ৯০০ ট্যাংক, ২ হাজার ৩০০ সশস্ত্র যুদ্ধযান মোতায়েন করেছে রাশিয়া।
ক্রিমিয়ার ভেতরে ও বাইরের আকাশে ৫ শতাধিক সামরিক বিমান ও ৩০০ হেলিকপ্টার চক্কর দিচ্ছে।’
পোরোশেঙ্কো আরও জানান, কৃষ্ণসাগর, আজোভ ও এজিয়ান সাগরে ৮০টি সামরিক জাহাজ ও ৮টি সাবমেরিন রয়েছে।
গত রবিবার রুশ বাহিনী অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ এবং ২৪ নাবিককে আটক করে রাশিয়া।
এ ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয় ইউক্রেন ও রাশিয়া সম্পর্ক। ঘটনার পরপরই ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউক্রেনের ১০ অঞ্চলে মার্শাল ল’ জারি করেন পোরোশেঙ্কো। আর এর আওতায় তিনি ইউক্রেনে ১৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী রুশদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন।