সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৫:২৮:০৪

মাত্র ২৬ ধনীর কাছে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ!

মাত্র ২৬ ধনীর কাছে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মানবজাতির সবচেয়ে দরিদ্র অর্ধেক মানুষের যে পরিমাণ সম্পদ আছে, বিশ্বের মাত্র ২৬ ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণও ততটাই। ওই ২৬ জন ধনীর সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার, যা ৩৮০ কোটি মানুষের সম্পদের সমান।

আজ সোমবার দাতব্য সংস্থা অক্সফামের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনকে সামনে রেখে অক্সফামের এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বার্ষিক ওই সম্মেলনে বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রনেতাদের পাশাপাশি ধনকুবেরদের অনেকেই থাকবেন।

অক্সফামের ওই প্রতিবেদনের বরাতে এএফপির খবরে জানানো হয়, অক্সফাম বিশ্বব্যাপী ধনী ও দরিদ্রের এই বৈষম্য দূর করতে সরকারের পাশাপাশি ধনকুবেরদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ধনীদের সম্পদ যে স্থির অবস্থায় আছে—এমন নয়। তাঁদের সম্পদ গত বছর প্রতিদিন ২৫০ কোটি ডলার করে বেড়েছে। উদাহরণ হিসেবে ফোর্বসের তালিকায় থাকা শীর্ষ ধনী অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজোসের প্রসঙ্গ টানা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, জেফ বেজোসের সম্পদ গত বছর ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলার বেড়েছে। তাঁর সম্পদের মাত্র ১ শতাংশ ১০ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার দেশ ইথিওপিয়ার পুরো স্বাস্থ্য বাজেটের সমান।

ধনীর ধন বাড়লেও দরিদ্রের সম্পদ কমেছে। ৩৮০ কোটি মানুষের সম্পদ গত বছর ১১ শতাংশ কমেছে। ধনী ও দরিদ্রের সম্পদের এই বৈষম্য অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি জন–অসন্তোষকেও উসকে দিচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এর উদাহরণ হিসেবে ফ্রান্সের চলমান ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই আন্দোলনের শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তা সামাজিক জীবনের নানা অসংগতির প্রতিবাদ হয়ে উঠেছে। এই ক্ষোভের বড় একটি কারণ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ধনীদের কর রেয়াদের একটি সুযোগ দিয়েছেন। মূল্যস্ফীতির কারণে গরিবেরা জীবনধারণ করতে হিমশিম খাচ্ছে আর ধনীদের আরও ধন বাড়ানোর সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার—এটা মেনে না নিয়ে রাস্তায় এসে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন হাজারো বিক্ষোভকারী।

অক্সফামের নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানিমা এই সংকট স্বীকার করে বলেন, বিশ্বব্যাপী মানুষ এখন ক্ষুব্ধ ও হতাশ। এর অন্যতম কারণ যে সম্পদের বৈষম্য, তা তাদের প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে