শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ০১:২৯:১৩

যে কারণে কাশ্মীরে হামলা: টাইমস অব ইন্ডিয়ার বিশ্লেষণ

যে কারণে কাশ্মীরে হামলা: টাইমস অব ইন্ডিয়ার বিশ্লেষণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তবে হামলার হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হলেন আফগানিস্তানের জায়েস-ই-মোহাম্মদের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার এবং আফগানিস্তান যুদ্ধের অভিজ্ঞ ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ আব্দুল রশিদ গাজী। গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এমন প্রতিবেদন দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্দুল রশিদ গাজী এই হামলার প্রধান সংগঠক। গত বছরের ডিসেম্বরে এই হামলার পরিকল্পনার কাজ শুরু হয়।এই হামলা ছিল পরিকল্পিত। এর নেপথ্যে অনেক কারণ রয়েছে।

প্রথম কারণটি হলো, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ছিল ভারতের সংসদে হামলার মূল হোতা আফজল গুরুর মৃত্যুবার্ষিকী। আর তাই তারা একটা বড় হামলা করতে চেয়েছিল যাতে গোটা ভারত কাঁদে।

গোয়েন্দা সূত্রমতে, হামলার অনেক আগেই উপত্যকায় প্রবেশ করেছিল হামলাকারীরা। গত মাসে জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় জায়েস-ই-মোহাম্মদ সদস্য তলহা ও উসমান। তারা দুজনই ছিল মাসুদ আজাহারের ভাতিজা। তারপর থেকে জায়েস-ই-মোহাম্মদ প্রতিশোধ নিতে তার গাজী বাহিনীকে সেখানে পাঠায়।

এতে আরও বলা হয়েছে, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর উপত্যকায় অনুপ্রবেশের মাধ্যমে সেখানে প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ধারণা করা হচ্ছে, ডিসেম্বরের শেষে তারা পুলওয়ামায় পৌঁছায় যাত্রীবাহী গাড়িতে করে।

পুলওয়ামায় পৌঁছানোর পর থেকেই শুরু হয় হামলা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি শ্রীনগরের লালচকে সিআরপিএফের গাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা করে। ওই হামলায় সাত নিরাপত্তারক্ষী ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হন।

গোয়েন্দাদের মতে, এই হামলার মধ্যে দিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা তাদের মূল হামলার ছক থেকে গোয়েন্দাদের নজর পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল। আর এসব ছোট ছোট হামলা চলতে চলতেই ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ভারতের স্বাধীনতার পর জম্মু-কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা ঘটল।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশটির বিশেষায়িত বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৪৯ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন।

এদিন সিআরপিএফ সদস্যদের বহন করা দুটি গাড়িতে জঙ্গিদের বোমা বিস্ফোরণে জওয়ানরা নিহত হয়। জওয়ানদের একটি বাসের মাধ্যমে অন্যটির বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বাসটিতে ৫৪ ব্যাটালিয়ন সিআরপিএফ জওয়ানরা ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইইডির বিস্ফোরণের পর শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

সিআরপিএফের অপারেশন আইজি জুলফিকার হাসান বলেন, জম্মু থেকে শ্রীনগর যাওয়ার পথে ৭০টি যানবহন ছিল। এর মধ্যে একটিতে হামলা করা হয়। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কাশ্মীর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।সূত্র: গ্রেটার কাশ্মীর ও হিন্দুস্তান টাইমস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে