আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোনও স্করপিও নয়, একটি লাল মারুতি সুজুকি ইকো গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই করেই সিআরপিএফের কনভয়ে হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গি। এমনটাই উঠে আসেছে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে।
বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ সেনা। বিস্ফোরণের পরই ভিডিও প্রকাশ করে হামলার দায় স্বীকার করে জইশ-ই-মোহাম্মদ। হামলার পরই বলা হচ্ছিল, একটি স্করপিও গাড়িতে বিস্ফোরক নিয়ে হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমদ দার।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলার আগে একটি লাল ইকো ভ্যান বারবার কনভয়ের কাছাকাছি চলে আসছিল। কনভয়ে থাকা তিন নম্বর বাসটি বারবার ওই ভ্যানটিকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বলে। তারপরও সেটি কনভয়ের সামনে বারবার ডানদিক-বাঁদিক করতে থাকে। এভাবে কয়েক মিনিট করার পর সেটি একটি বাসকে ধাক্কা মারে।
এদিকে, এই হামলায় আত্মঘাতী জঙ্গি হিসেবে এলাকার যুবক আদিল আহমেদ দারকে ব্যবাহার করা হলেও মূল পরিকল্পনা করেছিল রশিদ গাজি নামে এক আফগান নাগরিক ও কামরান নামে এক পাকিস্তানি। ত্রাল বা সংলগ্ন এলাকায় থেকে তারা আদিলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গাজিকে ওই হামলার জন্য নিয়োগ করেছিল মাসুদ আজহার। আফগান যুদ্ধে লড়াই করা গাজি একজন আইইডি বিশেষজ্ঞ।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আবহাওয়া খারাপ থাকার পর গত বৃহস্পতিবারই জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের রাস্তা খোলে। সাধারণত একসঙ্গে ১০০০ বেশি জওয়ান কনভয়ে না থাকলেও সেদিন ছিল আড়াই হাজারেরও বেশি জওয়ান।
ভোর ২.৩০ নাদাদ জম্মু থেকে যাত্রা শুরু করে সেটি অবন্তীপোরার লেথপোরায় আসে বিকেল ৩ টা ১৫ নাগাদ। কনভয়ে থাকা পাঁচ নম্বর বাসটিকে বাঁদিক থেকে থাক্কা মারে ওই লাল ভ্যানটি। পরের বাসটিও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গুলির শব্দও শোনা যায়। কিন্তু কে সেই গুলি চালিয়েছিল তা এখন স্পষ্ট নয়।
এক সিআরপিএফ জওয়ান সংবাদমাধ্যমে জানান, বিস্ফোরণ ঘটার পর আমাদের বাস থেকে নামতে নিষেধ করা হয়। চারদিকে তখন কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। পরে মোবাইলে মেসেজ থেকে জানতে পারি ভয়ঙ্কর এক বিস্ফোরণ হয়েছে।