সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ০১:০০:১৪

ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে, জানুন সর্বশেষ পরিস্থিতি

ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে, জানুন সর্বশেষ পরিস্থিতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলার মূল হোতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর বড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনারা। জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে জইশ-ই-মুহাম্মদের কমান্ডার কামরান নিহত হয়েছে। তার সঙ্গে আরও এক জঙ্গি আবদুল রশিদ গাজিও নিহত হয়েছে। এই কামরানই পুলওয়ামায় হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বলে সেনা সূত্রের খবরে জানানো হয়েছে।

রোববার রাত থেকে পুলওয়ামার পিংলান গ্রামে জঙ্গিদের সঙ্গে টানা দশ ঘণ্টার লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন এক মেজরসহ চার জওয়ান। একজন সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নতুন করে সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলি বিনিময় শুরু হয়।

সেখানে সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে কামরানসহ কয়েকজন জঙ্গি আটকা পড়ে। এরপরই দুই জইশ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী। পুলওয়ামাসহ একাধিক জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন কামরান। তবে নিহত দুই জইশ জঙ্গির মরদেহ এখনও উদ্ধার করা হয়নি। জঙ্গি হামলার খবর আগে থেকেই ছিল সেনাদের কাছে। সে অনুযায়ী পুলিশ, সিআরপিএফ এবং স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ তৈরি ছিল।

গত বৃহস্পতিবার সিআরপিএফের গাড়ি বহরে আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ৪০ সেনা নিহত হয়। তারপর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে। ইতোমধ্যেই কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারপরই সোমবার নতুন করে জঙ্গি হামলার মুখে পড়তে হয় সেনাদের।

বৃহস্পতিবারের হামলার পর সিআরপিএফ সূত্র জানিয়েছে, ওই এলাকায় নিরাপত্তা দ্বিগুণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর গাড়ি বহরেও গতিতেও পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছেন সিআরপিএফের ডিজি রাজীব ভাটনগর।

তিনি বলেন, কনভয়ের সময়েও পরিবর্তন করার কথা হয়েছে। কনভয় থামা ও বাকি গতিবিধিও নিরাপত্তাবাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে সংযোগ বজায় রেখেই করা হচ্ছে।

পুলওয়ামা হামলার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই হামলার জবাব দেবে ভারত। কোথায়, কখন, কীভাবে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে সে বিষয়ে সেনাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এর পরেও একই এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জওয়ানদের নিহত হওয়ার ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে নিরাপত্তা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে