এয়ারস্ট্রাইকে কত জঙ্গি নিহত হয়েছে? মুখ খুললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এয়ারস্ট্রাইকে ঠিক কতজন জঙ্গি নিহত হয়েছে? লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রশ্ন ঘিরেই উত্তেজনা চড়ছে জাতীয় রাজনীতিতে। সরকারের কাছ থেকে বারবার এই একটা প্রশ্নের উত্তরই জানতে চাইছে বিরোধীরা।
এবং তাঁদের প্রশ্নের উত্তরে অবশেষে এই বিষয়ে নীরবতা ভাঙলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, এয়ারস্ট্রাইকে মৃত জঙ্গির সংখ্যা কোনও ভাবেই ঘোষণা করবে না সরকার। হামলা পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ সচিব জঙ্গি মৃত্যুর যে সংখ্যা জানিয়েছিলেন, সেটাই আসল তথ্য।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত পেরিয়ে পাক ভূমিতে ঢুকে সার্জিক্যাল এয়ার স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বিমান সেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বালাকোট, মুজফ্ফরাবাদ ও চাকোতির তিনটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। এরপরই সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে। এবং উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে সন্ত্রাসদমন অভিযানে ঠিক কতজন জঙ্গি নিহত হয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা পেশ করেননি তিনি।
কেবল জানান, বিপুল সংখ্যক জঙ্গি নিহত হয়েছে। কেবল বিদেশ সচিবই নন, সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিমানসেনার প্রধান বিএস ধানোয়া। তিনিও জানান, নির্দিষ্ট করে মৃত জঙ্গির সংখ্যা জানাতে পারবে না বায়ুসেনা। কিন্তু তাঁরা যে টার্গেটে হামলা করতে চেয়েছিল, সেখানে হামলা করেছেন।
তবে সোমবার বিতর্ক দানা বাঁধে অমিত শাহের একটি মন্তব্যকে ঘিরে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জানান, সন্ত্রাসদমন অভিযানে খতম হয়েছে ২৫০ জন জঙ্গি। এরপরই বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, যখন সরকার ও বিমান সেনা মৃত জঙ্গির সংখ্যা প্রকাশ করতে পারছে না, তখন অমিত শাহ কীভাবে মৃত জঙ্গির সংখ্যা জানলেন?
তারা অভিযোগ করেন, এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে ভোট রাজনীতি করছে সরকার। মঙ্গলবার বিরোধীদের সেই অভিযোগের উত্তর দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। জানান, এয়ারস্ট্রাইকের সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সন্ত্রাসবাদকে দমনের উদ্দেশ্যেই ওই অভিযান চালায় বায়ুসেনা। যা কোনও দেশের বিরুদ্ধে লড়াই নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই।
মঙ্গলবার আরও একবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অভিযোগ করেন, জওয়ানদের রক্ত নিয়ে রাজনীতি করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেনা বা দেশবাসীর বিরুদ্ধে তাদের লড়াই নয়। তাদের লড়াই মোদির বিরুদ্ধে।
