আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তানে কঠোরভাবে চলছে জঙ্গি দমন অভিযান। এর অংশ হিসেবে দেশটিতে ১৮২টি সন্দেহভাজন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সরকার এক ঘোষণায় এসব তথ্য জানায়। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, পাকিস্তান বিশেষ করে এ বছর ইসলামী সাহায্য সংস্থাগুলো বন্ধ করছে। পাকিস্তান জইশ-ই-মোহাম্মদ নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে।
এ সংগঠনটি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। এতে ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনীর ৪৯ জন জওয়ান নিহত হন। এ নিয়ে উপমহাদেশের দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ নিয়ে ভারত পাকিস্তানে অভ্যন্তরে বালাকোটে বোমা হামলার দাবি করে। পুলওয়ামার ঘটনায় ভারত প্রথম থেকেই পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। ভারত বলছে এর সঙ্গে পাকিস্তান জড়িত। এদিকে পাকিস্তান এর দায় অস্বীকার করে আসছিল।
এসব উত্তেজনা মধ্যে আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগে এ সপ্তাহে এ পর্যন্ত ১২১ জনকে আটক করা হয়েছে।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ১৮২ (মাদ্রাসা) ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে। দেশটির কয়েক লাখ দরিদ্র শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। তবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে উগ্রবাদের অভিযোগ রয়েছে।