বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৯, ০৫:২৪:৪৮

সাতসকালেই রাহুল গান্ধী-মমতা ব্যানার্জীকে টুইট নরেন্দ্র মোদির, তোলপাড় ভারতের রাজনীতি

সাতসকালেই রাহুল গান্ধী-মমতা ব্যানার্জীকে টুইট নরেন্দ্র মোদির, তোলপাড় ভারতের রাজনীতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাতসকালেই টুইট। আর তাতেই চমকে উঠল জাতীয় রাজনীতির অলিন্দ। কারণ বুধবার সকালে যে টুইটে রাজনীতির ঘুম ভাঙল তা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক এবং অভিনেতা–অভিনেত্রীদের একটিই টুইট করেছেন তিনি। 

শুরুটা কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে দিয়ে। তারপর বিরাট কোহলি, রণবীর সিং, ভিকি কৌশলসহ আরও অনেকে রয়েছেন। একমাস বাদেই ভোট। তাই নিজেকে সবার সামনে ধরে রাখতেই এই টুইট কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। 

কী টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী?‌ টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‌নতুন প্রজন্মের অনেকেই আপনাদের অনুগামী। এটাই উপযুক্ত সময় আপনাদের বলার জন্য। আমাদের সময় এসে গিয়েছে। তাই এই সময়ে চূড়ান্ত জোশ নিয়ে মানুষকে ভোট কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে। কারণ এটাই গণতন্ত্রের বড় কাঠামো।’‌ 

এই টুইটের মধ্য দিয়ে দুটি বার্তা দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক, সবাই যাতে ভোট দিতে আসেন তার প্রচার করতে। দুই, নতুন প্রজন্মের ভোট দান অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি এই টুইটটি প্রথম করেন তার বিরোধী সাতজন রাজনীতিবিদকে। যারা এই লোকসভা নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর। 

তারা হলেন, রাহুল গান্ধী, মমতা ব্যানার্জী, শরদ পাওয়ার, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব এবং এমকে স্ট্যালিন। জাতীয় রাজনীতিতে এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এখন নরেন্দ্র মোদির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। যে কোনও মুহূর্তে তারা জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট পাল্টাবার ক্ষমতা রাখেন। তাই তাদেরকে আগে টুইট করেছেন মোদি বলে মনে করছেন অনেকে। 

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল লতা মঙ্গেশকর এবং এআর রহমানকেও টুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‌এই ভোট হল মানুষের আওয়াজকে শক্তিশালী করার পথ।’‌ সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকেও তিনি পৃথকভাবে টুইট করেছেন। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ভোট চলবে গোটা দেশে। তাই নিজের ব্যক্তিগত ইমেজকে তুলে ধরতেই এই প্রচারণার অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে