শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯, ০৭:৪৭:১৯

মসজিদের ভেতর থেকে যেভাবে বেঁচে ফিরলেন কিশোরগঞ্জের আফসানা

মসজিদের ভেতর থেকে যেভাবে বেঁচে ফিরলেন কিশোরগঞ্জের আফসানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুক্রবার জুমার নামজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে যখন হামলা হয়, তখন আফসানা আক্তার রিতু ছিলেন মসজিদের ভেতরেই। এদিকে আফসানার বাড়ি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। 

এক বছর আগে তার বিয়ে হয় নিউজিল্যান্ড-প্রবাসী এক বাংলাদেশির সঙ্গে। ৯ মাস আগে তিনি দেশ ছেড়ে নিউজিল্যান্ডে যান। এদিকে আল নুর মসজিদ থেকে তাদের বাসা মাত্র এক মিনিটের পথ। 

গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আফসানা আক্তার রিতু সেই ভয়াবহ হামলার বিবরণ দিয়েছেন। বাসার কাছেই যেহেতু মসজিদ, আফসানা তাই প্রতিদিন সেখানে নামাজ পড়তে যেতেন। ঘটনার সময় তারা তিনজন বাংলাদেশি নারী একসঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা মসজিদের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ করে একটা শব্দ পাই। আমরা শব্দ শুনে দৌড়াদৌড়ি করে বাইরে আসি। যারা গুলি করছিল, ওরা প্রথম মেয়েদের রুমে আসেনি, ওরা প্রথম গিয়েছিল পুরুষদের রুমে। আমরা তিনজন বাংলাদেশি একসঙ্গে ছিলাম। তিনজনই একসঙ্গে দৌড় দেই।’

আফসানা আরও বলেন, ‘আমাদের বাসা একদম মসজিদের পাশে। বাসায় আসতে এক মিনিট লাগে। গোলাগুলির শব্দ শুনে আমরা দৌড়ে বাসার দিকে আসি। কিন্তু বাসার চাবি, জুতা এইগুলা মসজিদে রেখে আসছি। জান বাঁচানোর জন্য পালিয়ে আসি।’

এদিকে এই হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত নিউজিল্যান্ডের জনগণ। ওয়েলিংটনের এক মসজিদের বাইরে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলি। আফসানারা যে তিনজন একসঙ্গে ছিলেন, তাদের মধ্যে একজনের পায়ে গুলি লাগে। পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্স এসে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে আফসানা জানান, যে ব্যক্তি গুলি করছিল, তাকে দেখেননি তিনি। ‘আমরা ভয়ে পেছনে তাকাইনি।’ এই ঘটনার পর আফসানা এখন রীতিমত আতংকে আছেন। অথচ নিউজিল্যান্ডে তার গত নয় মাসের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারই অন্যরকম।

এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে থাকতেই আমি জানতাম, নিউজিল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। অনেক নিরাপদ। এ পর্যন্ত কোনদিন কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু এখন ভয় লাগছে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে