আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনার পরপরই পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি বাংলাদেশের তামিম ইকবালের সাথে কথা বলে খোঁজ নেন বলে জানান টুইটারে। খবর বিবিসি বাংলা’র
ক্রাইস্টচার্চের ঘটনাকে ভয়াবহ উল্লেখ করে আফ্রিদি বলেন, নিউজিল্যান্ডকে অনেক নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ দেশ ভাবেন তিনি – সেখানকার মানুষও বন্ধুত্বপূর্ণ।“তামিমের সাথে কথা হলো, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ও স্টাফরা নিরাপদে আছেন এটা স্বস্তিদায়ক। বিশ্বের উচিৎ ঘৃণার বিরুদ্ধে এক হওয়া, সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই,” লিখেছেন শহীদ আফ্রিদি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, যিনি ছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক, এই হামলার পেছনে মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবকে দায়ী করেন।
“নাইন ইলেভেনের পর যে কোন মুসলমানের দ্বারা সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য ইসলাম এবং ১৩০ কোটি মুসলিমদের সমষ্টিগতভাবে দায়ী করা হচ্ছে। মুসলিমদের রাজনৈতিক সংগ্রামকে দানবীয় রূপ দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করা হচ্ছে”, নিজের টুইটে বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এর আগে তিনি এই ঘটনায় হতবাক হওয়ার কথাও লিখেছেন টুইটারে।
বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান লিখেছেন, নিউজিল্যান্ডের এই ঘটনা নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। আমি আল্লাহ’র কাছে শুকরিয়া জানাই যে আমার সতীর্থরা, আমার ভাইয়েরা রক্ষা পেয়েছে।”
দলের ক্রিকেটারদের নিরাপদ থাকার ব্যাপারে স্বস্তি প্রকাশ করেন সাকিব আল হাসান
“প্রার্থনার জায়গাতেও কি আমরা সুরক্ষিত নই?” এমন প্রশ্ন রেখেছেন শোয়েব আখতার।
“ভিডিওতে যা দেখলাম তাতে আমি হতভম্ব, আমি দৃঢ়ভাবে এই ধরণের সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে,” পাকিস্তানের সাবেক এই গতিতারকা লিখেছেন টুইটারে।
‘প্রার্থনার জায়গাতেও কি আমরা সুরক্ষিত নই?’ এমন প্রশ্ন রাখেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার।বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিরাপদে আছেন বলেও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শোয়েব আখতার।
ওদিকে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার ঘটনায়।
তিনি লিখেছেন, “এই কাপুরুষোচিত হামলায় যারা ভিকটিম তাদের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো।”
বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা নিরাপদে থাকুক বলেও শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি।