আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ভয়াবহ বন্দুক হামলার আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইশতেহার পাঠিয়েছিল হামলাকারী। হামলার ১০ মিনিটেরও কম সময় আগে এই ইশতেহার পাঠায় সে। খবর দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড’র।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদ ও লিনউড মসজিদে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলায় প্রাণ হারান দুই বাংলাদেশিসহ অন্তত ৪৯ জন। আহত হন আরও ৪৮ জন। এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম ব্রেন্টন ট্যারান্ট। হামলার ঘটনা সরাসরি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেছে সে। পাশাপাশি অনলাইনে প্রকাশ করেছে হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে একটি ৭৪ পৃষ্ঠার ইশতেহারও। ইশতেহারটির একটি কপি হামলার আগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডর্নের কার্যালয়েও পাঠিয়েছিল সে।
আরডর্নের কার্যালয় ইশতেহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আরডর্নের মুখপাত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ মোট ৭০ রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমে ইশতেহারটি ই-মেইলে পাঠিয়েছে হামলাকারী। এসব রাজনীতিবিদদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান বিরোধীদলের নেতা সাইমন ব্রিজেস ও পার্লামেন্টের স্পিকার ট্রেভর ম্যালার্ড।
মুখপাত্র বলেন, ইশতেহারটি এমনভাবে সাজানো ছিল যে, হামলাটি ইতোমধ্যে ঘটেছে। এতে তার হামলা চালানোর কারণের বর্ণনা দেওয়া ছিল। সে এটা বলেনি যে, আমি হামলা চালাতে যাচ্ছি। হামলা থামানোর কোনো সুযোগ ছিল না।
হেরাল্ড অনুসারে, ই-মেইলটি পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ই-মেইল ঠিকানায়, আরডর্নের ব্যক্তিগত ঠিকানায় নয়। যিনি প্রধানমন্ত্রীর ই-মেইল দেখাশোনা করেন, তিনি এ বিষয়ে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ই-মেইল সম্পর্কে পার্লামেন্ট নিরাপত্তাবাহিনীকে অবগত করেন। তারা পরে এ বিষয়ে পুলিশকে জানান।