সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০১৯, ০৯:৪৩:০৬

এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অনুমতি দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড সরকার!

এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অনুমতি দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড সরকার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের জুম্মার দিন দুটো মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫০ জন মুসলিমের হত্যার পর দেশটির একটি প্রাইভেট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের পোশাক নীতিমালা পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছ। মূলত বিদ্যালয়টিতে হিজাব পরিধান করার অনুমতি প্রদান করার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়টির একজন সাবেক শিক্ষার্থী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এটি হিজাবের চাইতেও বেশী কিছু। এটি এমন একটি উদ্যোগ যার মাধ্যমে আমরা সমাজে বিদ্যমান সকল অবিচার সমূহের কিছু কিছুকে সঠিক পথে নেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড রাজ্যের ‘The Diocesan School for Girls’ নামের বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার তাদের পোশাক নীতিমালার পরিবর্তনের কথা এক ফেইসুবুক পোস্ট ঘোষণা দিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপল হেথার মেকরে ফেইসবুকে দেয়া ওই পোস্ট লেখেন, ‘Diocesan বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপদেশ দিয়ে জানাচ্ছে যে, বিদ্যালয়ের পোশাক নীতিমালা পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে এবং হিজাব পরিধান করে বিদ্যালয়ে আসতে চায় এমন যেকোনো শিক্ষার্থী এখন থেকে তা করতে পারে।

উল্লেখ্য, মার্চ মাসের ১৫ তারিখ তারিখ নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫০ জন মুসলিমের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে মুসলিমদের সাথে সহমর্মিতা জানানোর অংশ হিসেবে ‘সহমর্মিতার জন্য স্কার্ফ’ এমন একটি উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিদ্যালয়টি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর পূর্বে বিদ্যালয়টিতে হিজাব পরিধান করে আসা নিষিদ্ধ এমন একটি ফেইসবুক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়া সমূহে ব্যাপক শেয়ার হয়। কিন্তু বর্তমানে সেটি ফেইসবুক থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

২০০৬ সালে ‘The Diocesan School for Girls’ নামের বিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থী কিউলে ওং বলেন, এর পূর্বে তারা এমন ঘোষণা দিয়েছিল যাতে এটি পরিষ্কার হয়েছিল যে, বিদ্যালয়ে মাথা ঢেকে রাখে এমন স্কার্ফ নিষিদ্ধ।

কিউলে ওং এবং ‘The Diocesan School for Girls’ বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টিতে হিজাব পরিধান করার অনুমতি দানের জন্য Change.org এ একটি পিটিশন খুলেছিল যা ইতোমধ্যে ৮৫০টি স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে।

আর এর পরে গত শুক্রবার ২২ তারিখ বিদ্যালয়টির প্রাধান শিক্ষক এক ঘোষণায় তাদের পোশাক নীতিমালার পরিবর্তনের কথা জানান। তিনি বলেন, এর পূর্বে কোনো শিক্ষার্থী বা কোনো অবিভাবকের নিকট থেকে হিজাব পরিধান করার জন্য অনুরোধ আসে নি। কিন্তু আমাদের ‘নীতিমালা পরিবর্তন করার জন্য’ এখনই আদর্শ সময়।

কিউলে ওং বলেন, নিউজিল্যান্ড হামলার পরে দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠীদের প্রতি সহমর্মিতার হার অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে।

তিনি বলেন, তার সাবেক বিদ্যালয়ের পোশাক পরিবর্তনের নীতিমালা হিজাবের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটি এমন একটি উদ্যোগ যার মাধ্যমে আমরা সমাজে বিদ্যমান সকল অবিচার সমূহের কিছু কিছুকে সঠিক পথে নেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে