হত্যার তালিকায় ব্রিটিশ এমপিরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জঙ্গি সংগঠন আইএসকে দমনের জন্য সিরিয়ায় বিমান হামলার সুপারিশ দেওয়া ফলে আইসিস খতম তালিকায় ঠাঁই পেলেন ব্রিটিশ সাংসদরা। এই তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর ব্রিটেন জুড়ে জোরদার করা হল রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মচারিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ধারনা করা হচ্ছে সিরিয়া থেকে ব্রিটেনে ফিরছে প্রায় ৩০০ ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদী। তাদের নিশানায় রয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সযসদ সদস্যরা। বাদ যাচ্ছেন না ব্রিটিশ সরকারের অধীনে কর্মরত আমলা ও পদস্থ আধিকারিকরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আইএসের খতম তালিকায় রয়েছেন এরা সকলেই। এই কারণে সাংসদদের নির্বাচনী কেন্দ্র, অফিস ও বাসস্থান কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্রিটিশ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, 'জঙ্গিদের চোখে সংসদ্যরা অবধারিত নিশানা। শহরাঞ্চলে সিরিয়া-ফেরত জিহাদিদের উপস্থিতি তুলনায় বেশি। যে সমস্ত সংসদ সদস্য এই সমস্ত এলাকায় রয়েছেন, স্বাভাবিক ভাবেই তাদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।'
তার ব্যাখ্যা, 'জঙ্গি হামলার মূল লক্ষ্য নাশকতার মাধ্যমে হিংসা ছড়িয়ে দেওয়া যাতে সরকারের উপর চাপ দিয়ে প্রশাসনিক মূল নীতিতে সুবিধাজনক বদল আনা যায়। কারণ সরকারি নীতি নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা নেন সংসদ সদস্যরাই। একই কারণে, সম্প্রতি সিরিয়ায় বিমানহানার পক্ষে যে সমস্ত সদস্য ভোট দিয়েছিলেন, জঙ্গি নিশানায় তারাই রয়েছেন প্রথম সারিতে।'
প্রসঙ্গত, ইরাক যুদ্ধের পক্ষে সম্মতি দেওয়ার জেরে ২০১০ সালে পূর্ব লন্ডনে নিজের নির্বাচনকেন্দ্রে ছুরিকাহত হন ব্রিটিশ লেবার এমপি স্টিফেন টিম্স। তার উপর হামলা চালায় বছর একুশের ইসলামপন্থী জঙ্গি রোশনারা চৌধুরী। হত্যার চেষ্টায় শাস্তি হিসেবে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ব্রিটিশ আদালত।
জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে এর মধ্যেই সাংসদদের দপ্তরে বিশেষ 'প্যানিক বাটন' বসানো হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। আপাতত সিরিয়া ও ইরাক সংক্রান্ত প্রায় ৬০০টি নাশকতার ঘটনার তদন্ত করছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।
১৫, ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ