আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মীরে পাক-ভারত সীমান্ত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) পাশে থাকা পাকিস্তানের সাতটি নিরাপত্তাচৌকি গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি শেল নিক্ষেপের সময় কাশ্মীরের রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সেনারা বলছে, এতে পাকিস্তানি সেনাদেরও বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। এখবর দিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
এদিকে, পূর্বসতর্কতা হিসেবে রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলার সীমান্তসংলগ্ন সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি শেলের কারণে স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানি মর্টার শেলের হামলায় ৫ বছরের এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, ভারতীয় মর্টারের গোলায় তিন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ অধিদফতরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। পাক আইএসপিআর বলছে, নিয়ন্ত্রণরেখার রাওয়ালকোট সেক্টরে বিনা উসকানিতে ভারতীয় বাহিনী গোলাবর্ষণ করলে তাদের তিন সেনা নিহত হয়।
পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার পর পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ এ রক্তক্ষয়ের ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দর বলেন, আজকের গোলাবিনিময়ে তাদের এক সেনা নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়েছে।
কাশ্মীরের ভারত-পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ২০০৩ সালে অস্ত্রবিরতি চুক্তি সই হয়েছে। কিন্তু প্রায়ই অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এতে ক্রসফায়ারের মধ্যে পড়ে দুই পাশের বেসামরিক লোকজন হতাহত হচ্ছেন।
এর আগে পুলওয়ামায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চার বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, এতে তিন সেনাসহ তাদের এক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
এবার একটি রক্তক্ষয়ী বছর পার করতে যাচ্ছে কাশ্মীর। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সংঘাতে ২১ বেসামরিক লোকসহ ১৬২ জন নিহত হয়েছেন। তবে গত বছরের একই সময়ে ১১৯ জন নিহত হয়েছিলেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় এক কাশ্মীরি তরুণের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতের একটি আধাসামরিক বাহিনীর ৪৯ জওয়ান নিহত হন। পরে এ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এক তরফা আকাশযুদ্ধও হয়ে গেছে।