বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:৪৮:৩২

মমতার জনসভার চেয়ে তিন গুণ বেশি জনসমাবেশ মোদির সভায়

মমতার জনসভার চেয়ে তিন গুণ বেশি জনসমাবেশ মোদির সভায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের আসন্ন ১৭ তম লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরুতে এক দিকে শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠ। অন্য দিকে দিনহাটা। কাওয়াখালির বড় মাঠ এ দিন প্রত্যাশা মতোই ভরিয়ে দিল বিজেপি। উত্তরবঙ্গের সব জেলা থেকে লোক এসেছিল নরেন্দ্র মোদির সভায়, বলছে পুলিশেরই সূত্র। 

অন্য দিকে দিনহাটার মাঠে লোক ধরে তুলনায় অনেক কম, সত্তর হাজার। পুলিশের হিসাব মতো তা ষাট হাজারের মতো লোক হয়েছিল মমতার জনসভায়। দিনহাটায় ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর জনসভা।

বিজেপির শিলিগুড়ির নেতারা বারবার বলছিলেন, তারা শহরের লোক দিয়েই মোদীর সভার মাঠ ভরাবেন। কিন্তু আদতে কাওয়াখালির সভাকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গের সব জেলায় কর্মিসভা হয়েছে গত দশ দিন ধরে। সভার কথা ঘোষণার পরে তা ভরাতে পূর্ণ শক্তিতে মাঠে নেমেছিল বিজেপি। 

বিজেপি ছাড়াও বিমলপন্থী মোর্চা, জিএনএলএফ, অনন্তপন্থী গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, কর্মীরাও এ দিন মাঠ ভরাতে উপস্থিত ছিলেন। দিন দশেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদির সভায় তিন’লক্ষের কাছাকাছি লোক হয়েছিল। 

অন্য দিকে, মাত্র দিনহাটায় মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল সংহতি ময়দান ভড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলও। তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, সংহতি ময়দানে প্রায় ৬০ হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন।

প্রচুর মানুষ এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দেন। বাঁশ দিয়ে ঘেরা সভাস্থল ভর্তি হয়ে যাওয়ার পর মহানন্দা নদীর বাঁধের উপরও ভিড় উপছে যায়। প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে সভাস্থল সংলগ্ন মহানন্দা সেতু ও এশিয়ান হাইওয়ে-২ র উপরও সারি দিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন উৎসাহীরা। প্রধানমন্ত্রী তখনও এসে পৌছাননি। 

মোদি আসতেই শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। কর্মীদের শান্ত হতে ঘন ঘন মাইকে ঘোষণা করেন রূপা গাঙ্গুলী। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠে হাত নাড়তেই চারিদিকে মোদি, মোদি চিৎকার শুরু হয়ে যায়। উৎসাহী জনতার চিৎকারে কয়েকবার ভাষণ থামান প্রধানমন্ত্রী। 

এরপর মোদি বলেন, ‘এত ভালবাসা বাংলা আমাকে দিয়েছে, আমি মাথা নত করে প্রণাম করছি। আপনাদের ভালোবাসা দিদির ঘুম কেরে নেবে।’ ভাষণের শুরুতে শেষে ও মাঝে একাধিকবার ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেন মোদি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে