আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মানুষের মাঝে 'অপ্রচলিত' সম্পর্ক রূখতে শরীয়া আইন প্রচলন করেছে। আইন অনুযায়ী সমকামীদের পাথর ছুড়ে হত্যা করা হবে। এই আইন পাসের ফলে সে দেশের সমকামীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকেই সমকামীতার বৈধতা রয়েছে এমন দেশে আশ্রয়ের জন্য চেষ্টা করছেন।
এ ধরনের আইন চালু করার ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটির ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। খোদ দেশটির জনগনই এমন আইনের বিরোধিতা করছেন। দেশটিতে কিছু সংখ্যক মানুষ, যারা এলজিবিটি (লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার) হিসেবে পরিচিত ছিলেন; এখন তাদের পরিচয় গোপন করতে চান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩৩ বছর বয়সী ব্রুনাইয়ের এক সমকামী এএফপিকে বলেছেন, 'ব্রুনাই যা আমদানি করে এনেছে, তা নৃশংস এবং মানবাধিকার পরিপন্থী। এই আইন বাতিলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপ সৃষ্টি করা উচিত এবং মধ্যপন্থী ইসলাম চালু রাখা উচিত।'
গত বছর ব্রুনাই থেকে পালিয়েছিলেন ট্রান্সজেন্ডার নারী জোয়েলা জয়েস। এই মুহূর্তে তিনি কানাডায় অ্যাসাইলাম প্রত্যাশী। ১৯ বছরের এই তরুণী বলেন, 'প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে আমি দেশ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এদেশের সমকামীরা এমনিতেই নিজেদের যৌন পরিচয় লুকিয়ে রাখে। এবার তাদের ধরে ধরে পাথর ছুড়ে মারা হবে!'
শরীয়া আইন প্রবর্তনের আগেই দেশটিতে সমকামীতার শাস্তি হিসেবে দশ বছরের কারাবাসের আইন ছিল। খাইরুল নামের একজন পুরুষ সমকামী নতুন শরীয়া আইনকে 'ভয়াবহ' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি পরিস্কার বলেছেন, 'আমি প্রস্তুত হয়েই আছি; সুযোগ পেলেই আমাদের জন্য নিরাপদ কোনো দেশে চলে যাব।'
অবশ্য এই দেশত্যাগের হিড়িকের মাঝে এলজিবিটি কমিউনিটির একটি অংশ মনে করছে, এই শরীয়া আইন তাদের জন্য খুব একটা ক্ষতিকারক হবে না; কারণ প্রায় সব সমকামীরাই নিজেদের যৌন পরিচয় গোপন করে রাখে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৩ বছরের এক ট্রান্সজেন্ডার তরুণী বলেন,'আমার মনে হয়, আমরা যত বুদ্ধিমত্তা এবং সতর্কতার সঙ্গে চলব; ততই মঙ্গল হবে।'