আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের ২১ তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ভোট দিচ্ছেন দেশটির ভোটাররা। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া ভোটের ফলাফলে জানা যাবে কট্টর ইহুদিবাদী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসবেন কি না। নাকি নতুন কেউ দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন।
বর্তমান এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল বেনি গান্টজের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রচারে দিক থেকে দেখলে নেতানিয়াহুর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বেনি গান্টজ। এদিকে মধ্যপন্থী নীল-সাদা জোটের প্রধান গান্টজ নিরাপত্তা ও রাজনীতিকে পরিশুদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেতানিয়াহুর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
ইসরাইলের ১২০ সদস্যবিশিষ্ট পার্লামেন্ট নেসেটে কোনো দলেরই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের উপায় নেই। দেশটিতে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে রাত দশটা পর্যন্ত।
তবে ইসরাইলের সেনাবাহিনী অধ্যুষিত পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় যেসব ফিলিস্তিনি বসবাস করছেন তারা দেশটির নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। ইসরাইলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব অঞ্চলগুলোতে আনুমানিক ৫০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করছেন।
এদিকে নির্বাচনের আগে সোমবার জেরুজারেলেমে এক নির্বাচনী সমাবেশে নেতানিয়াহু লিকুদ সমর্থকদের ‘আত্মতুষ্টিতে’ না ভুগে ভোটকেন্দ্রগুলোতে হাজির হওয়ার তাগাদা দিয়েছেন। বিরোধী ‘বামপন্থীরা’ জিতে যেতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
প্রচারের শেষ দিনগুলোতে লিকুদ পার্টির এ শীর্ষ নেতা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে শক্ত বার্তা দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার দিকে বেশি মনোযোগী ছিলেন। এছাড়া ফের নির্বাচিত হলে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিকে ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
পশ্চিম তীরের দখল করা অংশে ইসরাইলের বসতি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ হিসাবে বিবেচিত হলেও, তেল আবিবের এতে আপত্তি আছে। দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া গাজাকে ঘিরে ফিলিস্তিনি সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঘটনা নেতানিয়াহুকে নির্বাচনী দৌড়ে খানিকটা অস্বস্তিতে ফেলেছে। বলছেন পর্যবেক্ষকরা।