বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ০৬:৩২:৫৫

শ্রীলঙ্কায় হামলার ভয়ে শহর ছাড়ছেন শত শত মুসলমানরা

শ্রীলঙ্কায় হামলার ভয়ে শহর ছাড়ছেন শত শত মুসলমানরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতদের শেষকৃত্য চলার মধ্যেই দেশটির পশ্চিম উপকূলের নেগোম্বো শহরের শত শত মুসলমান শরণার্থীরা এলাকাটি ছাড়ছেন।

এ সিরিজ হামলায় কয়েকটি চার্চ ও হোটেলে সিরিজ হামলায় ৩৫৯ জন নিহত হয়েছেন। গির্জার নেতারা ধারণা করেছিলেন, সেইন্ট সেবাস্টিয়ানেই মৃতের সংখ্যা ২০০-র কাছাকাছি হতে পারে।

ওই দিন সকালে যেসব এলাকায় বোমা হামলা হয় তার মধ্যে নেগোম্বোর সেইন্ট সেবাস্টিয়ান চার্চও ছিল। অন্য ছয়টি জায়গায় একই সময়ে হামলা হলেও এ গির্জাটিতে হওয়া হামলাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।

দেশটির কলম্বো থেকে মাত্র এক ঘণ্টা দূরের এ বন্দর শহরটিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন সম্প্রদায় মিলেমিশে বাস করছে। তবে গত কয়েকদিনে সেখানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা অনেক বেড়ে গেছে। 

বুধবারও কয়েকশ পাকিস্তানি মুসলমান কলম্বোর উত্তরের এ শহরটি ছেড়ে পালিয়ে যান। স্থানীয় নেতা ও পুলিশ নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকা ওই মুসলমানদের সরিয়ে নিতে বাসেরও ব্যবস্থা করে দেন।

পাকিস্তান থেকে আসা আদনান আলি বলেন, বোমা হামলা এবং এখানে যে বিস্ফোরণটি হয়েছে তার কারণে স্থানীয় শ্রীলঙ্কানরা আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। এ মুহূর্তে আমরা জানি না, আমরা কোথায় যাচ্ছি।

হামলার পরে এর দ্বায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) নিয়েছে। এ জঙ্গিগোষ্ঠীটি ইসলামের সুন্নি মতাদর্শে বিশ্বাসী। তবে, নেগোম্বো ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মুসলিম শরণার্থীর বেশির ভাগই আহমদিয়া মতাদর্শের।

পাকিস্তান আহমদিয়াদের ‘অমুসলিম’ ঘোষণার পরপরই এ মুসলমানরা সেখান থেকে পালিয়ে শ্রীলঙ্কায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। রোববারের হামলা তাদেরকে ফের উদ্বাস্তুতে পরিণত করল, ঠেলে দিল অনিশ্চিত জীবনের দিকে।

এদেরই একজন ফারাহ জামিল। রোববারের ঘটনার পর যাকে তার বাড়িওয়ালা বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন। ওই নারী বলেন, তিনি আমাকে বলেছেন- বেরিয়ে যাও; যেখানে খুশি সেখানে চলে যাও, কিন্তু এখানে থেকো না।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে