তবে কি সর্ষের ভেতর ভূত!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদির প্রতি অভিযোগ রয়েছে তারা উগ্র ইসলামপন্থি ওয়াহাবি ভাবাদর্শ রপ্তানিকারক। এমন অভিযোগের মুখেই দেশটি এবার প্রধানত মুসলিম দেশগুলির এক সামরিক জোট গঠন করেছে।
পারস্য উপসাগরীয় এলাকা ছাড়াও এশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশও তাতে যোগ দিয়েছে।
একদিকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালয়েশিয়ার মতো এশিয়ার দেশ, অন্যদিকে আফ্রিকার লিবিয়া, মালি, চাদ ও সোমালিয়ার মতো সংকটে জর্জরিত দেশও সৌদি নেতৃত্বে সামরিক জোটে যোগ দিয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলি তো রয়েছেই। মোট ৩৪টি দেশ এই জোটে যোগ দিয়েছে।
তবে শিয়া-প্রধান ইরান ও ইরাককে তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি, যদিও তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে তারা বড় ভূমিকা পালন করছে।
উগ্র ইসলামপন্থি ওয়াহাবি ভাবাদর্শ ও দেশের মধ্যেই চরম শাস্তির বিধানের কারণে গোটা বিশ্বে সৌদি আরবের নিজস্ব ভাবমূর্তি মোটেই অনুকূল নয়। সে দেশকে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর বলে মনে করছে অনেক মহল। তাই এমন এক দেশের নেতৃত্ব নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক প্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছে।
অনেক সৌদি নাগরিক সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন চালিয়ে যাচ্ছে বলে বার বার অভিযোগ উঠছে৷ তাই সবার আগে সেই প্রবণতা থামানোই জরুরি বলে মনে করেন আদেল এলসায়েদ স্পার।
যে রাষ্ট্র নাস্তিকতাকে সন্ত্রাসবাদের সমান হিসেবে দেখে, সে দেশের নেতৃত্বে সন্ত্রাস দমন জোট সম্পর্কে বিস্ময় প্রকাশ করছেন অনেকে।
১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�