আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাতদফার দীর্ঘ নির্বাচন শেষে বৃহস্পতিবার ভারতের সপ্তদশ লোকসভার ফল ঘোষণা করা হয়েছে। আর এতে দেশটির কনিষ্ঠতম পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চন্দ্রাণী মুর্মূ।
২৫ বছর বয়সী এই তরুণ রাজনীতিবিদ প্রকৌশলবিদ্যায় স্নাতক। লেখাপড়া শেষ করে হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছিলেন তিনি। কিন্তু যথারীতি দেশসেবার চাকরি পেয়ে গেলেন চন্দ্রাণী।
ভারতের উড়িষ্যার উপজাতি অধ্যুষিত জেলা কেওনঝড় থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এ তরুণী। লোকসভার যে আসনটি থেকে তিনি প্রার্থী হয়েছেন, কর্মসংস্থান ও উন্নয়নই সেখানকার মানুষদের প্রধান দাবি।
সরাসরি রাজনীতির কোনো অভিজ্ঞতা নেই এই উপজাতি তরুণির। কিন্তু যে মানুষগুলোর সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন, তাদের দুঃখ-কষ্ট ভালোভাবেই জানেন। এসব দেখে দেখেই তিনি বড় হয়েছেন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, একজন লোকসভার সদস্য হিসেবে আমার কাজ হবে হবে নিজ এলাকায় প্রচুর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এটা দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, কেওনঝড়ের মতো খনিজসমৃদ্ধ জেলায় কর্মসংস্থানের অভাব।
রাজ্যের যুব সম্প্রদায় ও নারীদের হয়ে কেন্দ্রে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, তার জেলায় শিল্প আনতে চেষ্টার কোনও খামতি রাখবেন না। চন্দ্রাণী বিজু জনতা দলের টিকিটে এ বারের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল দুবারের এমপি বিজেপির অনন্ত নায়ক। তার মতো একজন ঝানু রাজনীতিবিদকে ৬৬ হাজার ২০৩ ভোটে হারিয়েছেন তিনি। মুর্মূ বলেন, যন্ত্র প্রকৌশলবিদ্যায় স্নাতক শেষ করে আমি চাকরির খোঁজ করছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়ে গেলাম পার্লামেন্ট সদস্য।