আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিগত নিধন থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের কারাগারে আটক-কোনো ইস্যুতেই মুখ না খোলায় পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন মিয়ানমারের নেত্রি অং সান সুচি। তবে অভিবাসন বিরোধী কিংবা মুসলিম বিদ্বেষের ক্ষেত্রে ইউরোপে নতুন মিত্রের সন্ধান পেয়েছেন সুচি। তিনি হচ্ছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান।
সম্প্রতি বুদাপেস্টে অরবানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সুচি। এতে দুজনই অভিবাসন ও ইসলাম বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বৈঠক শেষে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুই নেতাই দৃষ্টিগোচরে এনেছেন যে, উভয় দেশ ও তাদের সংশ্লিষ্ট অঞ্চল-দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের জন্য সবচেয়ে বড় মোকাবেলার বিষয়গুলের মধ্যে রয়েছে অভিবাসন। তারা উল্লেখ করেছেন যে উভয় অঞ্চলেই অব্যাহতভাবে ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনগোষ্ঠির সঙ্গে সহঅবস্থানের বিকাশ দেখা যাচ্ছে।’
শান্তিতে নোবেল জয়ী সুচি ২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসেন। এর এক বছরের মাথায় মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বাড়তে শুরু করে। সেনা অভিযানের মুখে প্রাণে বাঁচতে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে সেনা অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ কিংবা ‘গণহত্যার প্রচেষ্টা’ আখ্যা দিলেও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া কিংবা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেন নি সুচি। কার্যত পুরো বিষয়টিতেই তিনি নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেছেন।