পাইলট সিগন্যালের অর্থ না বুঝায় মুহূর্তেই যা ঘটে গেল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিমান চালকরা সাধারণত গ্রাউন্ড স্টাফদের সংকেত মেনে আকাশে উড়াল দিয়ে থাকে। কিন্তু বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটার কিছু পর মুম্বাইয়ে গ্রাউন্ড স্টাফ যে সংকেত দিয়েছে, তার সঠিক অর্থ বুঝতে ব্যর্থ হন কো-পাইলট। আর এই ভুল বোঝাবুঝিতেই প্লেনের জেট ইঞ্জিনের পাখায় ছিন্নভিন্ন হয়ে ঝরে গেল একটি তরতাজা প্রাণ। মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি এয়ারপোর্ট থেকে ৮টা ৪০ মিনিটে হায়দ্রাবাদের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার কথা এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই-৬১৯-এর। কিন্তু ওড়া আর হলো না। এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শুধুমাত্র ভুল বোঝাবুঝিই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ।
রবি সুব্রামানিয়ান নামের ওই গ্রাউন্ড স্টাফের সংকেত বুঝতে পারেননি কো-পাইলট। ভুল বুঝে তিনি চালু করে দিলেন প্লেনের ইঞ্জিন। রবি তখন ইঞ্জিনের কাছেই দাঁড়িয়ে। সঙ্গে সঙ্গে তার দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ইঞ্জিনের পাখায়। উড্ডয়নের আগে ট্যাক্সিওয়েতে পৌঁছানোর পর প্লেনের সামনের ল্যান্ডিং গিয়ারের পিন সরিয়ে ফেলার দায়িত্ব থাকে গ্রাউন্ড স্টাফদের। এটি সরিয়ে ফেলার পর কর্মী সংকেত দিলে পাইলট প্লেনটি মূল রানওয়েতে নিয়ে যান।
দুর্ঘটনার পরপরই অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশ্বিনি লোহানি বলেছেন, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা দুঃখিত এবং অনুতপ্ত। দুর্ঘটনার পরপরই প্লেনটিকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং নিহত কর্মীর দেহ বের করে আনতে এর ইঞ্জিন খুলে ফেলা হয়।
১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪ডটকম/জুবায়ের রাসেল