আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের বহুল আলোচিত লাল মসজিদ এলাকায় ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শনিবার লাল মসজিদ সংলগ্ন জামিয়া হাফসা মহিলা মাদ্রাসা সিলগালা করে দেয়ার পর রোববার আবার তা খুলে দিয়েছে দেশটির সরকার। খবর বিবিসির।
শনিবার ইসলামাবাদের ওই মাদ্রাসাটি সিলগালা করে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল পাকিস্তান পুলিশ। মাদ্রাসা সংলগ্ন আশপাশের সবকটি সড়কও বন্ধ রাখা হয়। এতে ওই মাদ্রাসার ছাত্রীরা আটকা পড়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছে বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করলে রোববার ওই এলাকা থেকে পুলিশ সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
লাল মসজিদ ও জামেয়া হাফসা কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানায়, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত আলোচনার সময় দিয়ে ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার মসজিদ এলাকা থেকে পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, গত তিনদিন যাবত ওই মাদ্রাসা সিল করে রাখা হয়েছে।
শনিবার জামেয়া হাফসার প্রিন্সিপাল উম্মে হাসান দাবি করেছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইদিন ধরে শুধু মাদ্রাসার আশপাশের সড়ক বন্ধ রাখা হয়নি, বরং ছাত্রীদের থাকার রুমগুলোও তালাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
উম্মে হাসান আরও দাবি করেন, মাদ্রাসা ভবনের গ্যাস সংযোগও বন্ধ করে ওই ভবনে থাকা ১৫০ ছাত্রীর কাছে খাবার পৌঁছাতে দেয়া হয়নি। এবং তাদের সঙ্গে কাওকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জামেয়া হাফসা মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল বলে ইসলামাবাদ পুলিশের দায়িত্বশীল আমের নিয়াজি বিবিসিকে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে পুরুষের পাশাপাশি মহিলা পুলিশও রাখা হয়েছিল। তবে রোববার ওই এলাকা থেকে পুলিশ প্রহরা ও নিয়ন্ত্রণ উঠিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের লাল মসজিদে সেনা অভিযানের একশরও বেশি উগ্র ইসলামপন্থী নিহত হয়েছিল। ওই মসজিদের অধীনে দুটি মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। এর মধ্যে একটি ছেলে ও অন্যটি মেয়েদের জন্য।