আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল নয় বরং মমতা ব্যানার্জী মুসলমানদের মধ্যে লড়াই করিয়ে তাদের আরও সংখ্যালঘু করে দিচ্ছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বললেন দলত্যাগী মুসলিম নেতা কর্মীরা।
অন্যদিকে জয়পুরের ৩০টি বিজেপি পরিবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে জানালেন, ভুল বুঝে বিজেপি করছিলেন তাঁরা। এখন সত্যিটা বুঝতে পেরেছেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন।
আজ পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে ধানসিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সহ ১১৫ জন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের হাতে পতাকা তুলে দেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষ।
বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতা শেখ গোলাম জারজিস বলেন, "এত দিন তৃণমূল কংগ্রেস ও তাদের নেত্রী বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক বলেছে। আজ মানুষ বুঝতে পেরেছে বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল নয়। তাই সবাই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে।"
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শেখ রহমত আলি বলেন, "তৃণমূলের কোনও শৃঙ্খলা নেই। একমাত্র নেত্রী মমতা। উনি যা করবেন তাই। আর যারা মারপিট, ঝুট-ঝামেলা করে টাকা দেবে তারাই হবে দলের নেতা, প্রধান। এখন মারধর করে পঞ্চায়েত চলছে। এই দল মানুষের বাগস্বাধীনতা হরণ করেছে। তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম। বিজেপি দলটা ভালো, আদর্শ ভালো। এই যে বলা হচ্ছে বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল, আসলে তা নয়। একমাত্র মমতাই সাম্প্রদায়িক। মুসলমানদের সঙ্গে লড়াই করিয়ে আজ মুসলমানদের সংখ্যালঘু করে দিচ্ছে। তাই এই দল ছেড়ে আমি বিজেপিতে যোগ দিলাম।"
এদিকে, জয়পুরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেয় প্রায় ৩০টি পরিবার। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, "মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নে আকৃষ্ট হয়ে প্রায় ৩০টি পরিবার আজ তৃণমূলে যোগ দিল। তারা বুঝতে পেরেছে বিজেপি সব জায়গায় অশান্তি করছে।"
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর দলত্যাগী কর্মীরা বলেন, "এতদিন বিজেপি আমাদের ভুল বুঝিয়েছে। যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলো পূরণ করেনি। তাই আমরা ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।" অন্যদিকে আজ ইন্দাসের শাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অশ্বিনপুর ফুটবল মাঠে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ১৩০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন।