আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাদ্রাসা নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহর মন্তব্যের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে প্রস্তাব আনা হানছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরব হলেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
বুধবার তিনি বলেন, “রাজ্যে ঋণের দায়ে কোনও কৃষক আত্মহত্যা করেননি। শস্যবিমার ৮০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকার দিচ্ছে। দেওচা-পাঁচামি প্রকল্প আটকে রেখে দিয়েছে কেন্দ্র।”
পশ্চিমবাংলার মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করে জেহাদের জাল ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গিরা। মঙ্গলবার দিল্লীর লোকসভা সংসদে এমনই বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এই সংক্রান্ত নথি পেশ করেন সংসদে।
ভারত সরকারের মন্ত্রীর এই তথ্যের চড়া সুরে বিরোধিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূ্ল কংগ্রেস। বুধবার বিধানসভার অধিবেশন কক্ষেও ওঠে মাদ্রাসা প্রসঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্যের বিরোধিতা করে শাসক-বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আবদুল মান্নান বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের মন্তব্য উসকানিমূলক। কেন্দ্র এভাবে মন্তব্য করতে পারে না।
মান্নান বলেন, “কেন্দ্র যে ধরনের মন্তব্য করেছে, তাতে তারা উন্মাদ হয়ে গিয়েছে কি না দেখা দরকার। কেন্দ্রের ভিন্ন মন্তব্যের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে বিরোধিতা করা দরকার। জাতীয় রাজনীতির পক্ষে বিপজ্জনক মন্তব্য। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মানুষ কালো পতাকা দেখাতে বাধ্য হবে।”
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রের মন্তব্যের নিন্দা করে বলেন, “নোংরা খেলা শুরু হয়েছে। বাংলাকে টার্গেট করা হচ্ছে।” রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরিও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন।
তিনি বলেন, “ভারতের কোনও বিভাগই জঙ্গি যোগ দেখাতে পারেনি। আসলে ওরা পশ্চিমবঙ্গকে টার্গেট করেছে। যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।”
মাদ্রাসা-জঙ্গি যোগ নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতা করে একটি প্রস্তাব আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও বলেন, “বাংলায় কোনওদিন বিভাজন হয়নি। কিন্তু বিজেপি সেই বিভাজনের রাজনীতি করছে।”