জামিন পেলেন সোনিয়া ও রাহুল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন ভারতের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। পাতিয়ালা হাউস কোর্ট তাদের জামিন দেন। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে নিঃশর্ত এ জামিন পেয়েছেন তারা।
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়ার জামিন বন্ডে সই করেন এ কে অ্যান্টনি এবং রাহুল গান্ধীর বন্ডে সই করেন তার বোন প্রিয়ঙ্কা। আদালতের তলব পেয়ে আজ পাতিয়ালা হাইকোর্টে হাজির হন সনিয়া-রাহুল। আদালতের ভিতরে-বাইরে তখন কংগ্রেস নেতা-নেত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষণীয়। ছিলেন প্রিয়ঙ্কা বঢ়রাও।
গাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নেমে, পায়ে হেঁটেই আদালতে ঢোকেন সোনিয়া-রাহুল। শুরু হয় শুনানি। সোনিয়া-রাহুলের জামিনের বিরোধিতা করেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। যদিও, ধোপে টেকেনি তার যুক্তি। আদালত জামিন মঞ্জুর করে। ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। কিন্তু ঠিক কোন অভিযোগে শনিবার আদালতে হাজিরা দিতে হল সোনিয়া-রাহুল-সহ ৫ জনকে?
স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ খবরের কাগজটি শুরু করেছিলেন জওহরলাল নেহরু। ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থার আওতায় ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ ছাড়াও আরও দু’টি খবরের কাগজ প্রকাশিত হত।
সম্প্রতি বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী নিম্ন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
তার অভিযোগ, সোনিয়া-রাহুল ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ‘ন্যাশনাল হেরাল্ডে’র বহু কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করছেন। কংগ্রেসের তহবিল থেকে ‘ন্যাশনাল হেরাল্ডে’র ৯০ কোটি টাকার ঋণ মেটানো হয়েছে। স্বামীর দাবি, রাজনৈতিক দলের করমুক্ত টাকা এ ভাবে কোনও প্রতিষ্ঠানের দায় মেটানোর জন্য ব্যবহার করা যায় না। স্বামীর অভিযোগ, দায় মেটানোর পর মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেড’-এর সম্পত্তি নিজেদের কব্জায় আনে গাঁধী পরিবার।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, স্বাধীনতা আন্দোলনে ‘ন্যাশনাল হেরাল্ডে’র গৌরবময় ভূমিকার কথা মাথায় রেখে,
প্রতিষ্ঠানের পুনরুজ্জীবনের জন্য ৯০ কোটি টাকা ঋণ দেয় কংগ্রেস। এ জন্য কোনও সুদ ধার্য করা হয়নি। ২০১০ সালে কোম্পানি আইনের ২৫ নম্বর ধারায় ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ নামে একটি অমুনাফাভোগী কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’কে কংগ্রেসের দেওয়া ৯০ কোটি টাকা ঋণ নিজেদের ঘাড়ে নেয় ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’।
এই সংস্থার পরিচালন পর্ষদে সোনিয়া-রাহুল ছাড়াও ছিলেন, গান্ধী পরিবারের বন্ধু সুমন দুবে, কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ মতিলাল ভোরা, অস্কার ফার্নান্ডেজ এবং স্যাম পিত্রোদা।
কংগ্রেসের বক্তব্য, ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ অমুনাফাভোগী সংস্থা হওয়ায় তার পরিচালন পর্ষদের কোনও সদস্য বেতন বা অন্য কোনও সুবিধা পান না। এমন সংস্থা কাউকে লাভের অংশও দিতে পারে না। তা হলে জালিয়াতি হল কোথায়?
১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�