বৃহস্পতিবার, ০৮ আগস্ট, ২০১৯, ১০:২৬:১৫

কাশ্মীরে মুসলমানদের আহাজারি, কেন সরব হচ্ছে না মুসলিম বিশ্ব!

কাশ্মীরে মুসলমানদের আহাজারি, কেন সরব হচ্ছে না মুসলিম বিশ্ব!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সংবিধান থেকে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসক দল বিজেপি সরকার। বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত ভারত শাসিত কাশ্মীর। ১৪৪ ধারা চলছে সেখানে। 

সংকটকালীন এ মুহূর্তে কাশ্মীরি জনগণের পাশে দাঁড়াতে আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিখ্যাত আলেম ও পাকিস্তানের সাবেক শরীয়া কোর্টের বিচারপতি আল্লামা তাকী উসমানী।

বৃহস্পতিবার টুইটারে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ভারতের মুসলিম বিদ্বেষী সরকার প্রতি সপ্তাহে শত শত কাশ্মীরীকে মারছে। কাশ্মীরকে আরেক ফিলিস্তিন বানাতে চায় তারা। কাশ্মীর থেকে মুসলমানদেরকে তাড়িয়ে সেখানে হিন্দুদের বসতি স্থাপন করতে চায়।

টুইটারে দেয়া ওই পোস্টে আল্লামা তাকীর প্রশ্ন, কাশ্মীর আজ আহাজারি করে মুসলিম বিশ্বের কাছে জানতে চায়, কেন তাদের রক্ষার জন্যে আরব মুসলিম বিশ্ব সরব হচ্ছে না?

প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব করেন। সংসদের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন।

রাষ্ট্রপতির সইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেয়া ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হল। এর ফলে একটি স্বায়ত্বশাসিত রাজ্যের মর্যাদা হারানোর সাথে সাথে কাশ্মীর রাজ্য দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেল।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৫-ক ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের বাসিন্দা নয়, এমন ভারতীয়দের সম্পদের মালিক হওয়া এবং চাকরি পাওয়ায় বাধা ছিল। ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথে ৩৫-ক ধারাও অকার্য হয়ে গেল।

৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের এমন এক স্বায়ত্তশাসন রয়েছে যা ১৯৪৭ সালের পর দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশের রাজ্য পায়নি। অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান এবং একটি আলাদা পতাকার সন্মানও পেয়েছিল।

শুধুমাত্র পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্য সব ক্ষেত্রে কাশ্মিরীদের ইচ্ছাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিল ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। কিন্তু উগ্রো জাতীয়তাবাদী নেতা সদ্দার বল্লবভাই প্যাটেল ও ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর আদর্শে গঠিত এই হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার সে অধিকার কেড়ে নিল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে