আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উঠতি বয়সের তরুণীদের নিয়ে মধুচক্র চালাতে গিয়ে এবার হাতনাতে ধরা পড়লেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের নারী শাখার ব্লক সভানেত্রী! এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো মালদহ জেলায়।
মালদহ শহরের সিঙ্গাতলা এলাকায় ইংরেজবাজার থানার কাছে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল মধুচক্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় এক নারী, দুই তরুণী ও এক যুবক।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মালদহ শহরে এই মধুচক্রটি চালাত সরিতা মণ্ডল নামে এক নারী। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠতি বয়সী তরুণীদের প্রলোভন দেখিয়ে দেহব্যবসায় নামাতো সে। শুধু তাই নয়, মালদহ জেলার গ্রামীণ এলাকায় একই কায়দায় সরিতা দেহ ব্যবসা চালাত বলেও অভিযোগ।
এমনকি, মালদহ শহরের যে এলাকায় অভিযান চালিয়ে মধুচক্রের হদিশ পেয়েছে পুলিশ, সেই সিঙ্গাতলায় আরও বেশ কয়েকটি বাড়িতেও দেহ ব্যবসা চলে বলে শোনা যাচ্ছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
কিন্তু কে এই সরিতা মণ্ডল? মালদহের গাজোলে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথমসারির নেত্রী হিসেবে পরিচিত ওই নারী। বস্তুত, এক সময়ে গাজোল ব্লকে নারী তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রীও ছিল সরিতা।
স্বাভাবিকভাবেই মধুচক্র চালানোর অভিযোগে তার গ্রেপ্তারে শোরগোল পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। কেউ কেউ বলছে নেতাদের মনোরঞ্জন করতেও তরুণীদের তাদের কাছে পাঠাত। যদিও এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি মালদহের তৃণমূল নেতারা।
কয়েক দিন আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমুণ্ডিতে তৃণমূলের উপ-প্রধানের ফাঁকা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মধুচক্রের হদিশ পায় পুলিশ। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-সহ তিনজনকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের উপ-প্রধানের ফাঁকা বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই মধুচক্র চলত। কিছু বলতে গেলে হুমকি দেওয়া হত। আর এবার মালদহে মধুচক্র চালানোর দায়ে ধরা পড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রী। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন