আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আলোচিত-সমালোচিত বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা জাকির নায়েক মালয়েশিয়ার চার বিশিষ্ট নাগরিককে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালয় মেইল এ খবর জানিয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই চার ব্যক্তি ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন তিনি। নোটিশে ১৯ আগস্টের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। জাকির নায়েক দাবি করেছেন, ৮ আগস্ট দেওয়া তার ভাষণ ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন এই চারজন।
জাকির নায়েক যাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা হলেন, পেনাংয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পি. রামাসামি, বাগান ডালামের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য সাতিস মুনিয়ানদি, সাবেক রাষ্ট্রদূত ডেনিস ইগনাটিয়াস ও ক্লাংয়ের এমপি চার্লস সান্তিয়াগো।
সম্প্রতি জাকির নায়েক মন্তব্য করেছেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের চেয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা সংখ্যালঘু হিন্দুরা শতগুণ বেশি অধিকার ভোগ করছেন। মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী হিন্দুরা দেশটির চেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করেন বেশি।
তবে জাকির দাবি করেছেন, তার বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুদের নিয়ে জাকিরের এই মন্তব্যের জেরে তাকে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দেওয়ার প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসে। এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
এখন এই তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে সরকার। তদন্তে সত্যতা পেলে তাকে মালয়েশিয়ায় বসবাসের অনুমতি বাতিল করা হবে। নাজিব রাজাকের বিগত সরকার জাকির নায়েককে স্থায়ী আবাসিকতার অনুমোদন দেয়। গত তিন বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ভারতের আদালতে অর্থপা'চার ও ধর্মীয় বিদ্বে'ষ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে জিহা'দি কার্যক্রম উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে জাকিরের বিরুদ্ধে। দিল্লির পক্ষ থেকে তাকে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হলে ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এ ব্যাপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।