মুসলমানদের পক্ষে কথা বলায় বিপাকে খ্রিস্টান অধ্যাপক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুসলিমদের প্রতি সৌহার্দ্য দেখাতে হিজাব মাথায় দিয়ে কলেজে এসেছিলেন তিনি৷ ফেসবুকে লিখেছিলেন, মুসলিম ও খ্রিস্টানরা আসলে একই ঈশ্বরের উপাসনা করেন৷ এই 'অপরাধে' অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হল হুইটন কলেজের অধ্যাপক ল্যারিসিয়া হকিন্সকে৷ টাইমস অপ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
গত বৃহস্পতিবার নিজের হিজাব পরিহিত ছবি ফেসবুকে দিয়ে ল্যারিসিয়া লিখেছিলেন, 'যে মুসলিমরা ধর্মীয় বিভেদের শিকার হন, আমি তাদের প্রতি ধর্মীয় সৌহার্দ্য দেখাতে চাই, কারণ তারা আমাদের খ্রিস্টানদের মতোই মানুষ৷ আর পোপ ফ্রান্সিস তো গত সপ্তাহেই বলেছেন, আমরা (খ্রিস্টান ও মুসলিমরা) একই ঈশ্বরের উপাসনা করি৷'
পরের দিনই হুইটন কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ব্যাপারে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের৷ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, 'আমাদের এক অধ্যাপকের মন্তব্যে মতাদর্শ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে৷ বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে মতামত প্রকাশের অধিকার কলেজের অধ্যাপকদের রয়েছে৷ কিন্তু তাদের সেই মন্তব্য যেন কলেজের খিস্টধর্মীয় বিশ্বাসকে তুলে ধরে৷' ল্যারিসিয়ার মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলেই তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু সেই ছুটি কত দিনের, সেই সময় ল্যারিসিয়া আদৌ বেতন পাবেন কি না, তাকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে কিছুই জানায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ৷
প্রসঙ্গত, ল্যারিসিয়া নিজেও ফেসবুকে জানিয়েছিলেন, এই মন্তব্যের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়েরই বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তিনি৷ তার হিজাব পরিহিত ছবি দেখে অনেকে তার ধর্মবিশ্বাস নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন৷ কলেজের প্রিন্সিপাল ফিলিপ জি রাইকেন জানিয়েছেন, ল্যারিসিয়ার হিজাব পরা নিয়ে তাদের কোনও সমস্যা নেই৷ ল্যারিসিয়ার মতামত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ এ দিকে ল্যারিসিয়ার প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই শিক্ষিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ তাদের মন্তব্য, কলেজের এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয়৷
২০ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই