সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৭:১৬

প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো কলকাতা শহর

প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো কলকাতা শহর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বি'স্ফো'রণের শব্দে কেঁপে উঠলো শহর কলকাতার বিবাদি বাগ এলাকা। ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যায়। ছুটির দিন থাকায় ওই এলাকায় পথচলতি মানুষের সংখ্যা কম ছিল। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্টিফেন হাউস এর সামনে হঠাৎই প্রবল বি'স্ফো'রণের আওয়াজ শুনতে পান। স্টিফেন হাউজের মূল দরজার সামনে গিয়ে তারা দেখেন, ফুটপাথের উপর প্রায় চার ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। 

তারা আরও জানিয়েছেন, বি'স্ফো'রণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ফুটপাথে বসানো পাথর প্রায় ১৫ ফুট দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মাটির তলায় ব্যাপক বি'স্ফো'রণ হলে যেভাবে সব ছিটিয়ে পড়ে এ ক্ষেত্রে ঠিক সেরকমই হয়েছে। 

স্থানীয়দের দাবি, বি'স্ফো'রণের পর ওই জায়গা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। মুহূর্তেই আ'ত'ঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। ওই এলাকায় অনেক দোকান ও অফিস রয়েছে। রবিবার হওয়ায় সবই বন্ধ ছিল। ফলে অন্য দিনের মতো লোকজনও কম ছিল এ দিন। তা না হলে বড়সড় দু'র্ঘ'টনা ঘটে যেতে পারত।

অন্য দিকে, বি'স্ফো'রণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পৌঁছান ডিসি সেন্ট্রাল ‌নীলকণ্ঠ সুধীর কুমার এবং যুগ্ম কমিশনার মুরলীধর শর্মা। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সিইএসই-র কর্মকর্তারাও।  

সিইএসই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ফুটপাথের নীচে রয়েছে ওই বহুতল বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগের জয়েন্ট বাক্স। ওই ফুটপাথের বাকি অনেকটা অংশে পাথর তুলে বিদ্যুতের লাইন পরীক্ষা করেন। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, বিদ্যুৎ সংযোগের কোনও গণ্ডগোল থেকেই বিস্ফোরণ।

অন্য দিকে, বি'স্ফো'রণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের কর্মকর্তারা। দুর্ঘটনার পর সেখানে পোড়া তারের গন্ধ পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা যায়। তাই ফুটপাতের নীচে ইলেকট্রিক কেবল ফেটেই এই দুর্ঘ'টনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর ধারণা তাদের।

গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, 'ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা সোমবার ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে দেখবেন। এই ফুটপাথের নীচে বিদ্যুতের অনেক লাইন রয়েছে। সেখান থেকে বি'স্ফো'রণ হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাটি যে কোনও কাজের দিনে হলে বড় দুর্ঘ'টনা ঘটতে পারত।' সূত্র : আনন্দবাজার

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে