আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সেনাবাহিনী সম্প্রতি সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় যে হা'মলা চালিয়েছে তা ইয়েমেনের জনগণের আ'ত্মর'ক্ষার বৈধ অধিকার।
প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, যখন ইয়েমেনের জনগণের দেশ ধ্বং'স হয়ে যাচ্ছে তখন কেউ আশা করতে পারে না যে তারা চুপ করে থাকবে।
সোমবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. হাসান রুহানি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বৈদেশিক আগ্রাসন এবং আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে যে অ'স্ত্রের ঢল নেমেছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে তার জবাব দিতে হচ্ছে ইয়েমেনের জনগণকে।
প্রেসিডেন্ট রুহানি জোর দিয়ে বলেন, যখন তাদের দেশ ধ্বং'স হয়ে যাচ্ছে তখন ইয়েমেনের জনগণ চু'প করে বসে থাকতে পারে না; আ'ত্মর'ক্ষা তাদের বৈধ অধিকার। তারা সৌদি আ'গ্রা'সনের পাল্টা জবাব দিচ্ছে।
গত শনিবার খুব ভোরে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ যোদ্ধা সমর্থিত সেনারা ১০টি ড্রোনের সাহায্যে সৌদি আরবের আরামকো তেল কোম্পানির দুটি স্থাপনায় ব্যাপক হা'ম'লা চালায়। এরপর প্রেসিডেন্ট রুহানি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বললেন।
ড্রোন হা'ম'লায় সৌদি আরবের তেল ও গ্যাস উত্তোলনের শতকরা ৫০ ভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। এর প্রভাবে সৌদি আরব প্রতিদিন এখন ৫৭ লাখ ব্যারেল তেল কম। উত্তোলন করছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ড্রোন হা'মলায় আরামকো তেল স্থাপনার যে ক্ষ'য়-ক্ষ'তি হয়েছে তা ঠিক করতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। ফলে সৌদি আরব থেকে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক হতেও কয়েক মাস সময় লাগবে যা আন্তর্জাতিক বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।