শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর, ২০১৯, ০১:১৮:২৩

সৌদি যুবরাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন রাজপরিবারের সদস্যরা!

সৌদি যুবরাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন রাজপরিবারের সদস্যরা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের দুটি তেল স্থাপনায় ভয়াবহ হামলার পর দেশটির ক্ষমতাসীন রাজপরিবার ও ব্যবসায়ী অভিজাতদের কয়েকজন সদস্য সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।

তাদের শঙ্কা পশ্চিমাবিশ্বে এমবিএস নামে পরিচিত এই যুবরাজ রাজপরিবারকে সুরক্ষা দিতে পারবেন না। এ নিয়ে তারা হতাশা ব্যক্ত করেছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।আল-সৌদি পরিবারের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্য তাদের দেশের জন্য উদ্বে'গ প্রকাশ করেছেন। পরিবারটিতে অন্তত ১০ হাজার সদস্য রয়েছেন।

রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশটির দুটি স্থাপনায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সৌদি রাজকীয় অভিজাত পরিষদের মধ্যে অস'ন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।তারা মনে করেন, যুবরাজ ক্ষমতাকে কঠো'রভাবে আঁ'কড়ে ধরতে চাচ্ছেন।

সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন পরিবারটির মধ্যে যারা মনে করেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুবরাজ অতিরিক্ত আগ্রা'সী অবস্থান নিয়েছেন, হামলার ঘটনার পর তাদের মধ্যে যুবরাজের সমালোচনা বাড়ছে।

রাজপরিবার সম্পর্কিত অভিজাত পরিষদের একটি সূত্র জানায়, যুবরাজের নেতৃত্ব নিয়ে এখানে প্রচুর অসন্তোষ রয়েছে। তাদের প্রশ্ন- এটি কীভাবে সম্ভব যে হামলাটি কোথা থেকে হয়েছে, তা শনাক্ত করতে পারেননি তারা?
সূত্রটি আরও জানায়, অভিজাত পরিষদের কয়েকজন বলছেন- যুবরাজের প্রতি তাদের কোনো আত্মবিশ্বাস নেই।

আরও চারটি সূত্র ও জ্যেষ্ঠ কূটনৈতিকের কাছ থেকে একই কথার পুনরাবৃত্তি শোনা গেছে। তবে এর পরও সৌদি আরবে যুবরাজের ঘোর সমর্থক রয়েছেন।

যুবরাজের অনুগত চক্রের একটি সূত্র জানায়, একজন সম্ভাব্য শা'সক হিসেবে সাম্প্রতিক ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে তার ওপর ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে তিনি ইরানি প্রভাব বিস্তার রোধ করতে চাচ্ছেন। এটি অবশ্যই দেশপ্রেমের ইস্যু। কাজেই তিনি ঝুঁ'কিতে পড়বেন না। অন্তত যতদিন তার বাবা জীবিত থাকবেন।

দ্বিতীয় এক জ্যেষ্ঠ বিদেশি কূটনীতিক বলেন, এমবিএসের পেছনে সাধারণ সৌদিরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাচ্ছেন। কারণ তিনি একজন বলিষ্ঠ, স্থিতিশীল ও গতিশীল নেতা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৌদি সরকারের গণমাধ্যম শাখার কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিবিএসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেছেন, আয়তনে বড় ও যে ধরনের হুমকির মুখোমুখি, সেই মানদণ্ডের হিসাবে সৌদি আরবের সুরক্ষা দেয়া কঠিন।তিনি বলেন, পুরো রাজ্যটিকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের কাজ। কাজেই ইরানকে প্রতিরোধে কঠোর ও জোরালো বৈশ্বিক পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ ছাড়া সামরিক উপায়ে বদলে শান্তিপূর্ণ সমাধানেই তার বিশ্বাস বলে উল্লেখ করেছেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে