আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব ‘সুক্কত’ উদযাপনের সময় হঠাৎ আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করেছে শত শত ইহুদি। এরকম আল-আকসায় এত ইহুদি প্রবেশ করার ঘটে গেল নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে সুক্কত উৎসব উদযাপনের সময় আল-আকসা মসজিদে ইহুদিরা প্রবেশ করেনি। সম্প্রতি ইসরায়েলের কয়েকজন মন্ত্রী ইহুদিদের জন্য আল-আকসা মসজিদ দখলের ঘোষণা দেয়ার পর এই ঘটনা ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা আনাদুলু জানায়, গত রোববার থেকে সপ্তাহব্যাপী ইহুদিদের সুক্কত উৎসব শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ইসরায়েলি পুলিশের সহায়তায় পাঁচ শতাধিকের বেশি ইহুদি আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করে। এছাড়া, গত বুধবার প্রায় নয় শতাধিকের বেশি ইহুদি আল-আকসায় প্রবেশ করেছিলো।
গত ১২ অক্টোবর ইসরায়েলের এক মন্ত্রী আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। তিনি ইসরায়েলের এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, এটা শীঘ্রই স্রষ্টার ইচ্ছায় ঘটবে। জেরুজালেমের পরিস্থিতি স্থানটির নিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌম ক্ষমতা অর্জনের দিকে যাচ্ছে। আমরা যখন আমাদের লক্ষ্যে (ইহুদিদের জন্য আল-আকসার দরজা খোলা) পৌঁছাব, তখন টেম্পল মাউন্টে প্রবেশ করে তারা তাদের প্রার্থনা করতে পারবে। আমি আশা করছি, এটি শীঘ্রই ঘটবে।’
চলতি বছর জুন মাসে আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের সহায়তায় শত শত ইহুদি প্রবেশ করে। তখন আল-আকসা মসজিদের অভ্যন্তরে থাকা মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এ সময় ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদের অভ্যন্তরে হামলা চালায়।
মসজিদুল আকসা অর্থ ‘দূরবর্তী মসজিদ’। মসজিদুল আকসা বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত। জেরুজালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। মিরাজের রাতে মুহাম্মদ (সা.) বোরাকে চড়ে মক্কা থেকে এখানে এসেছিলেন মর্মে পবিত্র আল-কুরআনে উল্লেখ রয়েছে। এটির সাথে একই প্রাঙ্গণে কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। মসজিদটির একটি অংশ ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের নিকট ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলেও পরিচিত এবং ইহুদি ধর্মে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়।
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নিয়েছে। আর ১৯৮০ সালে পুরো শহরটিকে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো তার স্বীকৃতি দেয়নি।