আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি সেনা অভিযানের ঘটনায় তী'ব্র ক্ষো'ভ প্রকাশ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান একজন চোর।
এর আগে তিনি কলকারখানা, গম ও তেল চুরি করেছেন, আর আজ নেমেছেন অন্যের ভূমি দখল করতে। সিরিয়ার উত্তরাংশে ইদলিব অঞ্চলের আল-হেবেইত শহরে সিরীয়-আরব সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে বাশার আল আসাদ এ কথা বলেন।
এরদোগান ও মার্কিনমিত্র কুর্দিবি'দ্রো'হী গোষ্ঠীসহ অন্য বি'চ্ছি'ন্নতাবাদীদের স'মা'লো'চনা করে আসাদ বলেন, যখন আমরা বাইরের কারো দ্বারা আক্রান্ত হবো, বা কেউ আমাদের ভূমি দখলের চেষ্টা চালাবে তখন আমাদের দায়িত্ব হলো একতার মধ্য দিয়ে তা প্রতিহত করা। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত কিছু সিরীয়, তা করেননি।
আসাদ বলেন, আমরা তাদের বলেছিলাম, বাইরের কারো ওপর নির্ভরশীল না হয়ে, দেশ ও তার সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হতে, কিন্তু তারা শোনেনি। তারা মার্কিনিদের মিত্র বানিয়েছে। এখন আমরা দেখছি, তুরস্ক তাদের হটিয়ে বিশাল ভূমি দখলে নিয়েছে। অথচ এগুলো কুর্দি গোষ্ঠীর হাতে থাকার কথা ছিল।
দেশের বিরুদ্ধে যে কোনো শক্তিকে মোকাবেলায় তার সরকার প্রস্তুত বলে জানান আসাদ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাইরের আ'গ্রা'সন ঠেকাতে আগ্রহী যে কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক গোষ্ঠীকেও সরকার সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট বলেন, যখন তুর্কি আ'গ্রা'সনে উত্তরাঞ্চল আ'ক্রা'ন্ত হলো তখনই আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামরিক গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এবং বলেছি যে, আমরা তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে প্রস্তুত। এটি কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়। বরং সংবিধান ও জাতির প্রতি আমাদের দায়িত্ব। প্রতিরো'ধে এগিয়ে না এলে আমরা কোনো মাতৃভূমির দাবি করতে পারি না।
চলতি মাসের ৯ অক্টোবর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সেনা অভিযান শুরু করে তুরস্ক। পরে মার্কিন মধ্যস্থতায় ১৮ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সেনা অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই শর্তে যে, এর মধ্যে কুর্দি যো'দ্ধারা নিরাপদে ওই অঞ্চল থেকে সরে যাবে। এ শর্ত পালিত না হলে পুনরায় সেনা অভিযান পরিচালনার হু'ম'কি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান।
অবশ্য এরই মাঝে কুর্দিরা ওই এলাকা থেকে সরে যেতে শুরু করেছে। তুর্কি ওই অভিযানে শতাধিক নিহ'ত ও প্রায় ৩ লাখের মতো মানুষ বাস্তুহারা হয় বলে খবরে প্রকাশ।
তুরস্ক বলছে, কুর্দি মিলিশিয়ামুক্ত করে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলকে ‘নিরাপদ ভূমি’ ঘোষণা করতে চায় তারা। এ অঞ্চলটিকে তুরস্কে অবস্থানরত ৩৬ লাখ সিরীয় শরণার্থীর জন্য বাসযোগ্য করে তোলার পরিকল্পনা দেশটির সেনাবাহিনীর। এর বাইরে সিরিয়া বা অন্য কারো ভূমি দখলের কোনো পরিকল্পনা তুরস্কের নেই বলে জানিয়েছেন এরদোগান। সূত্র : রয়টার্স